নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার সরাসরি ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন প্রধান শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষিকারা। ভোটের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যালয় গুলির ছাত্রছাত্রীদের পঠন পাঠন চালিয়ে নিয়ে যাওয়া ও বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক স্তরে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এমনই দাবি করেছেন ওই বিদ্যালয় প্রধানের দল। সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন প্রিসাইডিং থেকে পোলিং অধিকারিক নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে যা কমিশনের সঙ্গে বারংবার আলোচনা করেও ঠিক হয়নি।
এরপরই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন থেকে প্রধান শিক্ষক – শিক্ষিকাদের অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক- শিক্ষিকারা। তাঁদের নিবন্ধকৃত রাজ্য সংগঠন এডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স এন্ড হেডমিস্ট্রেসেস (পূর্বতন স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার্স এন্ড হেডমিস্ট্রেসেস।)
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতি জানান, “বিদ্যালয় প্রধান সিঙ্গেল ক্যাডার পোস্ট। সেই সাথে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক, শিক্ষা, সহ শিক্ষা সমস্ত ক্ষেত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেন প্রধান শিক্ষক- শিক্ষিকারা। ফলে তাঁদেরকে ইলেকশন ডিউটি দিলে একদিকে যেমন বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা হয়, তেমনি যে সমস্ত স্কুলে পোলিং স্টেশন, কি সেক্টর অফিস হয় সেখানেও নানান সমস্যা দেখা দেয়।”
শুধু তাই নয় এরই পাশাপাশি চন্দন মাইতি দাবি করেছেন , “বেতন কাঠামো অনুযায়ী নির্বাচনের কাজে দায়িত্ব বন্টনের নিয়ম ও মানা হয়নি। অনেক প্রধান শিক্ষক- শিক্ষিকাকে ফার্স্ট পোলিং এমনকি সেকেন্ড পোলিং অফিসারের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। সোসাইটির পক্ষ থেকে নির্বাচনের বহু আগে থেকে ইলেকশন কমিশনকে এই বিষয়ে বারবার ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তাঁদের সেই সময়ের দেওয়া মৌখিক আশ্বাস এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি।”
এরপরই তাঁরা বাধ্য হয়েই মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। আগামী ১লা মার্চ কেসটি বিচারপতি অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্যের এজলাসে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। যদি আদালত এই দাবি মেনে নিয়ে কমিশনকে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দেন সেক্ষেত্রে কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনায় নতুন কর্মী বাহিনীর সন্ধান করতে হতে পারে কারন রাজ্য জুড়ে কয়েক হাজার বিদ্যালয় প্রধান ভোট গ্রহণ পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন।