ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যে করোনা সংক্রমণের প্রথম থেকেই সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মাঠে নেমেছে পুলিশকর্মীরা। অতিমারির তোয়াক্কা না করেই দিন রাত কাজ করে চলেছেন প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। ফলে প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশ-প্রশাসন। বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন দুই করোনা যোদ্ধা৷ একইদিনে মৃত্যু হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের নোদাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বছর ৪৭ এর অনিন্দ্য বসু ও মন্দিরবাজারের বিডিও বছর ৫৬ এর সৈয়দ আহমেদ। এদিন দুই আধিকারিকের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ জেলা তথা রাজ্যের প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন নোদাখালি থানার আইসি অনিন্দ্য বসু। এরপর চলতি মাসের গত ১২ তারিখ তাঁর শরীরে একাধিক করোনার উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। তাঁর শারীরিক অবস্থা আচমকা খারাপ হতে শুরু করলে তাকে নিয়ে আলিপুরের কোঠারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেশকিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার গভীর রাতে অনিন্দ্য বাবুর শারীরিক অবস্থার ফের অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে বাইপাসের ধারে ফর্টিজ হাসপাতালের এমারজেন্সিতে ভর্তি করানো হয়। গভীর রাতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় নোদাখালি থানার ওই পুলিশ আধিকারিকের।
এদিকে, করোনায় সংক্রমিত হয়ে গত সোমবার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি হন মন্দিরবাজারের বিডিও সৈয়দ আহমেদ। গত দু’দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার সকালে আচমকা তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপর এদিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ওই হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয় বিডিও-র। তবে করোনা ছাড়াও হাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন বিডিও সৈয়দ আহমেদ। বৃহস্পতিবার সকালে বিডিও-র মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আনেন ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক সুকান্ত সাহা।