নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা করা হল ২০২১ সালের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার দিন। আগামী ১১ জুলাই রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জয়েন্ট্র এন্ট্রান্স বোর্ড। আগামী ১১ জুলাই সব ধরনের করোনা বিধি মেনেই নির্ধারিত সেন্টারগুলিতে রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
জয়েন্ট এন্ট্রান্স বার্ডের তরফে জানানো হয়েছে, বোর্ডের ওযেবসাইটে গিয়েও ফর্ম ফিল আপ করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। বুধবারই রাজ্যের স্কুল খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার শিক্ষামন্ত্রীর সেই ঘোষণার ঠিক পরের দিনই এবছরের জন্য রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার দিন ঘোষণা করে দিল জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড।
নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে এখন জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক৷ দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে জোরকদমে। খুলে গিয়েছে সরকারি, বেসরকারি অফিস থেকে শুরু করে অন্যান্য কর্মক্ষেত্র। লকডাউনের পর্ব ভুলে ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে মানুষ। করোনা-বিধি মেনে চলছে সব কর্মকাণ্ড। করোনার জেরে গত বছরের মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের স্কুল, কলেজ-সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাসের পর মাস ধরে অনলাইন ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে পড়ুয়ারা।
তবে, বুধবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন,কোভিড প্রোটোকোল মেনে নবম, দশম ও একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালুর ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিভাবকদের একাংশ। তাই আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর। কিন্তু স্কুল খুললেও একদিনে একসঙ্গে সব পড়ুয়াকে স্কুলে আনতে চায় না সরকার।
এদিকে স্কুল খুললেও আপাতত খুলছে না রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভরসা এখন অনলাইন ক্লাসই। তবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস। বৃহস্পতিবার ২৮ পাতার গাইডলাইন জারি করেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। মূলত গাইডলাইনে স্কুলগুলিকে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, শিক্ষকদের কী দায়িত্ব থাকবে, প্রধান শিক্ষকদের কোন দায়িত্ব থাকবে, জেলা স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের কী দায়িত্ব থাকবে, প্রশাসনের ভূমিকা কী হবে, সেই বিষয় নিয়ে। স্কুল খুললে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের মানতে হবে এক গুচ্ছ বিধি নিষেধ, যেমন- প্রত্যেকটি স্কুলের নোটিশ বোর্ডে লাগাতে হবে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক শিক্ষক শিক্ষক কর্মীদের জন্য। অভিভাবকদের জানাতে হবে যদি তাদের ছাত্র বা ছাত্রী জ্বর থাকে বা কোন রকম শারীরিক গত সমস্যা থাকে তাহলে ন্যূনতম সাতদিন বাড়ীতে বিশ্রামে রাখতে হবে। প্রত্যেকটি স্কুলে একটি নির্দিষ্ট করে আইসোলেশন রুম রাখতে হবে। প্রত্যেকদিন স্যানিটাইজ করতে হবে। সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় থাকে তা বিশেষভাবে দেখতে হবে। কোনও ভিজিটর,অভিভাবক স্কুলের ভেতরে ঢুকবেন না, ইত্যাদি।
দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। একইসঙ্গে অন্য ক্লাসের পড়ুয়ারাও দিনের পর দিন বাড়ীতে থেকে মনমরা হয়ে পড়ছে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে যার প্রভাব পড়ছে খুব বেশি। দিনের পর দিন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় কচিকাচাদেরও মন খারাপ।