নিজস্ব সংবাদদাতা: যে আতঙ্কের ভাইরাসকে মোকাবিলায় হওয়া উচিৎ বিজ্ঞানমনষ্কতার আর স্বাস্থ্য সচেতনতার সেই আতঙ্ক মোকাবিলায় গেড়ে বসেছে কুসংস্কারের ধুম। খোদ বিজেপির নেতা মন্ত্রীদের কাছ থেকে এসেছে গোমূত্র খাওয়ার পরামর্শ। কোনও বিজেপি নেতা আবার ১৫ মিনিট রোদে বসেই করোনা ধুয়ে দিতে বলেছেন। কুসংস্কারের আরেক রূপ দেখল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থেকে হাওড়ার উদয়নারায়নপুর। শ্মশান মশান থেকে কাঠ কয়লা খুঁড়ে গায়ে মেখে ঘুরে বেড়াল মানুষ। যদিও কোথাও দেখা মেলেনি পুলিশ প্রশাসন কিংবা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের।
শনিবার হাওড়ার আমতা ,উদয়নারায়ণপুর, বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় বাড়ির উঠোন, খেলার মাঠ, শ্মশান থেকে কাঠ কয়লা খোঁড়ার ধুম লেগে যায়। কোন এক তান্ত্রিক নাকি বলেছে কাঠ কয়লা মাখলে করোনা ভাইরাস পালাবে। কোন তান্ত্রিক বলেছে কেউ জানেনা। গল্প ছড়িয়েছে অমুক পাড়ার অমুকের করোনা হয়েছিল, কাঠ কয়লা মাখতেই গায়েব হয়ে গেছে। অতএব ছেলে বুড়ো বউ বাচ্চা তরুন তরুনী কাঠ কয়লা খুঁড়ল সারাদিন। একই জিনিস দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বিভিন্ন এলাকায়। বিভিন্ন জায়গা থেকে থেকে পোড়া কয়লা নিয়ে গায়ে মাখার ধুম মেতে উঠল এলাকায়। আর সেই কয়লা সারা গায়ে মেখে ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকার মানুষ। অন্য দিকে করোনা তাড়াতে শুরু হয়ে গেছে যজ্ঞও। ঘাটালের করোনা ভাইরাস দমনে যজ্ঞ হয়ে গেল দাসপুরে। শনিবার সকাল ১১টায় দাসপুরের বৈকুন্ঠপুর নিম্বার্ক মঠের উদ্যোগে বিহারীলাল জীউ মন্দিরে এই যজ্ঞ হল। মঠ আচার্য সুবাস ত্রিপাঠী একাধিক পুরহিত নিয়ে এই যজ্ঞ করেন। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে এই যজ্ঞে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি সাধারন মানুষকে এমনটাই দাবি মঠের।