নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বীরসিংহ গ্রামের এক নার্স হাসপাতাল সূত্রে সংক্রমিত হওয়ার পর তাঁরই সংস্পর্ষে এসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন গোটা পরিবারই। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত বীরসিংহ গ্রামপঞ্চায়েতের রাধানগর গ্রামের একই পরিবারের ৫ জন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন যার মধ্যে ১১ বছরের একটি বালিকা সহ ৭০ বছরের বৃদ্ধ, ৬০ বছরের বৃদ্ধা, ৫০বছরের এক প্রৌঢ় ও ৩৮বছরের এক যুবক রয়েছে।
জানা গেছে ওই বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা যুবকের বাবা মা। প্রৌঢ় ওই পরিবারের কেয়ারটেকার এবং বালিকা ওই যুবকের কন্যা। যুবকের স্ত্রী স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নার্স। যে হাসপাতালের তিনি নার্স সেই হাসপাতালে ঘাটালের চন্দননগর ও মূলগ্রামের ২জন চিকিৎসাধীন রোগী ভর্তি থাকা অবস্থায় করোনা পজিটিভ হয়। এরপর ওই নার্সের সামান্য জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে ঘাটালের বিদ্যাসাগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নমুনা দিয়েছিলেন তিনি। বুধবার পজিটিভ ধরা পড়ে ওই নার্সের । এরপরই বুধবার নমুনা সংগ্ৰহ করা হলে দেখা যায় পরিবারের সবাই পজিটিভ।
যদিও পরিবারের সদস্যরা ঠিক করেছেন পুরো পরিবারই হাসপাতালে না গিয়ে নিজেদের বাড়িতেই রাজ্য সরকারের ‘হোম আইসোলেশন’ পদ্ধতি কার্যকর করবেন। পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, “আমাদের গৃহলক্ষী একজন কোভিড যোদ্ধা। তিনি নিজের কর্তব্য করার সময় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা তাঁর কাছ থেকে সংসারের সেবা পেয়ে থাকি সেই সূত্রে আমরা আক্রান্ত। আমরা চাই বাড়িতেই আমরা আইসলেশনে থাকব। আমাদের অনেক রুম আছে। ফলে সমস্যা হবেনা। তাছাড়া আমরা যদি হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে থাকি তবে বাড়ি নেই এমন মানুষেরা হাসপাতালের শয্যা পাবেন সহজেই।”
ঘাটাল ব্লক স্বাস্থ্য অধিকারিককে বিষয়টি জানিয়েছেন তাঁরা। ঘাটাল মহকুমার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “শয্যা সঙ্কটরের মুখে এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তবে একজন স্বাস্থ্য অধিকারিক ওনার বাড়ি গিয়ে পরিস্থিতি দেখবেন তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদি মনে হয় এটা করলে ভাল থাকবেন তবে তাই হবে। তবে পাশাপাশি বৃদ্ধ বৃদ্ধার শরীরকে অবস্থাও দেখা হবে। স্বাস্থ্য অধিকারিকরাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।” এদিকে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সমস্ত কর্মীরাদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্ৰহ শুরু হয়ে গেছে।