নিজস্ব সংবাদদাতা: ট্রমা কাটেনি এখনও গঙ্গারামপুরের শিক্ষিকার। হাত পা বেঁধে যাঁকে কুকুরের মত হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে রাস্তায় টেনে নিয়ে যেতে যেতে উল্লাসে ফেটে পড়ে ছিলেন স্থানীয় তৃনমূল নেতারা। চাপের মুখে পড়ে তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হলেও এখনও তাকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ঘটনার পরে চার দিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের উপপ্রধান অমল সরকারকে গ্রেফতার করতে না পারায় রীতিমত আতঙ্কে শিক্ষিকা ও তার পরিবার। তাঁদের বক্তব্য , ‘‘আবার যদি সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে হামলা চালায়!’’
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘটনা শুক্রবারের, জমি নিয়ে বিবাদের জেরে স্মৃতিকণাকে মারধর করা এবং তাঁর পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে হিঁচড়ে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর অঞ্চলের উপপ্রধান অমল সরকারের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশের বক্তব্য, তল্লাশি চলছে, অন্য দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, পুলিশকে দ্রুত গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে। তার পরেও কেন অমলকে খুঁজে বার করতে পারেনি পুলিশ, সেই প্রশ্ন উঠেছে। আক্রান্ত শিক্ষিকা স্মৃতিকণা দাস এবং তাঁর পরিবার এখনও আতঙ্কে রয়েছেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশ গ্রেফতার করেছে, অমল সরকারের দুই ঘনিষ্ঠ তপন শীল ও গোবিন্দ সরকারকে। স্থানীয় মানুষ জন বলছেন , এঁদের বিরুদ্ধে এর আগে তৃণমূল কর্মী পরিতোষ ভৌমিককে খুনের অভিযোগও ওঠে। সেই ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে সেই অর্থে কোনও তদন্তই শুরু হয়নি বলে অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন বলেন, ‘‘এক সময়ে জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ এক তৃণমূল জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠ ছিল এরা। তিনি পরে বিজেপিতে চলে যান। তখন শিবির বদলে নতুন ক্ষমতাবানদের কাছাকাছি চলে যায় তারা। এই অবস্থায় কে-ই বা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে? ফলে এত দিন ধরে খোলামেলা ভাবে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের খোঁজ পায়নি।’’
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ অবশ্য এখন বলেছে, পরিতোষ ভৌমিকের খুনের অভিযোগের মামলাও শুরু করা হয়েছে। কোনও ভাবেই অভিযুক্ত পার পাবেনা। জামিন অযোগ্য ধরায় দায়ের করা হয়েছে মামলা।