নিজস্ব সংবাদদাতা: শনিবার এক লাফে ৭ আক্রান্তের খোঁজ পাওয়ার পর রবিবার খানিকটা দম নিয়েছিল খড়গপুর কারন আগের দিনে যাওয়া ৭৮টি নমুনার একটিও পজিটিভ আসেনি। সোমবারও দিনটা ভালই গেছিল কারন রবিবার সংগ্ৰহ করা নুমনার ৫২টিও নেগেটিভ। হয়ত শান্তি নিয়ে বিছানায় যাওয়ার অপেক্ষা করছিলেন স্বাস্থ্যকর্তারা কিন্তু দু:সংবাদ এল আরও রাতে এবার কলকাতা থেকে খড়গপুরের এক ব্যক্তির পজিটিভ হওয়ার খবর এসেছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর মারফৎ খড়গপুর পুলিশ জানতে পেরেছে শহরের নিমপুরা এলাকার দেওয়ানমাড়ো এলাকার এক ৭০বছরের বৃদ্ধের করোনা পজিটিভ মিলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, শরীরে টিউমারের সমস্যা নিয়ে ওই বৃদ্ধ কলকাতার আর.এন.টেগর হাসপাতালে গিয়েছিলেন অপারেশন করাতে। এখন কোনো রুগী হাসপাতালে গেলেই নিয়মমাফিক করোনা টেষ্ট করা হয়। সেই টেস্টেই পজিটিভ ফলাফল আসার পরই কলকাতার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপারেশন না করেই ফেরৎ পাঠিয়ে দেয় বৃদ্ধকে। পুলিশ মধ্যরাতে ওই বৃদ্ধের বাড়িতে না গিয়ে মঙ্গলবার সকালেই ওই বৃদ্ধকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনা ফের বুঝিয়ে দিল খড়গপুরের ভৌগোলিক মানচিত্রে করোনা তার থাবা বাড়িয়েছে নিমপুরা অবধি। শনিবারের শহরের ২০নম্বর ওয়ার্ড ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খরিদা অবধি বিস্তার লাভ করেছিল বলেই জানা গিয়েছিল সোমবার তা নিমপুরা অবধি চলে গেল।
সোমবার আরও একটি নতুন তথ্য যোগ করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তা’হল জঙ্গলে কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে থাবা বসিয়েছে।
শালবনীতে অবস্থিত সিআরপিএফের এক কোবরা প্রশিক্ষন কেন্দ্রের এক জওয়ান আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক মহিলা আধিকারিকও করোনায় আক্রান্ত এমনটাই জানা গেছে। রেলের সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানদের পর কলাইকুন্ডায় অবস্থিত বায়ুসেনার এক কর্মীর স্ত্রীর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার পর ফের অন্য এক বাহিনীতে করোনার গ্রাস পৌঁছে যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। এদিন পশ্চিমমেদিনীপুর জেলায় একডজন নতুন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।
অন্যদিকে খড়গপুর শহরের ভবানীপুর এলাকায় লাগাতার সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান চলছে পুলিশের উদ্যোগে। বর্তমানে ভবানীপুর সহ সংলগ্ন এলাকাই খড়গপুর শহরের ভরকেন্দ্র। সর্বাধিক ৬জন সক্রিয় কোভিড শুধু ভবানীপুর এলাকায়। সোমবার এরকমই এক শিবিরে খড়গপুরের বিদায়ী উপ পৌরপ্রধান করোনা জয়ী সেক হানিফ সচেতনা শিবিরে অংশ নেওয়া মানুষদের টেলি কনফারেন্স মারফৎ মাস্ক পরা ও করোনা বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন বাড়িতে বসেই।
জানা গেছে তিনি সবাইকে বেশি করে জল পান করতে আর রসুন খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। সোমবার খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে এ যাবৎ কালের সর্বাধিক ১৩৭ জনের নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়েছে যার ফল আসবে মঙ্গলবার রাতেই।