ওয়েব ডেস্ক : পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রণববাবু। সেকারণে সাজানো গড়ির পরিবর্তে করোনা সংক্রমণ এড়াতে সরকারি নিয়ম মেনে বিশেষ শববাহী গাড়িতেই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির মরদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। এবিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকদের তরফে এক নামী সংবাদসংস্থাকে বলা হয়, ” সামাজিক দূরত্বের বিধি এবং অন্যান্য কোভিড সংক্রান্ত প্রোটোকল মেনে চলার জন্য সামরিক গাড়ির পরিবর্তে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ শববাহী গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ১০ নম্বর রাজাজি মার্গে প্রণববাবুর বাসভবনে তাঁর মরদেহ রাখা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় সেখানে যাবতীয় বিধিনিষেধ পালন করা হয়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বহু মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন। সে অনুযায়ী প্রত্যেকের জন্য নির্দিষ্ট সময় ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় অনুযায়ী এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ একাধিক মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতারা প্রণববাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যান।
সূত্রের খবর, একটি ঘরে প্রণববাবুর ছবিতে তাকে শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এরপর পাশের ঘরে রাখা প্রণববাবুর মরদেহ দূর থেকেই দেখেন প্রত্যেকে। যাঁরা প্রণববাবুকে শেষবারের মতো দেখতে এসেছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের মুখে মাস্ক ছিল। অনেকে আবার সংক্রমণ এড়াতে ফেস শিল্ডও ব্যবহার করছিলেন। পাশাপাশি যারা মরদেহের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, সেসকল আধিকারিক যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরপর দুপুর ১টা নাগাদ, প্রণববাবুর মরদেহ বিশেষ শববাহী গাড়িতে করে দিল্লির লোধি রোডের মহাশশ্মানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সংক্রমণ এড়াতে পিপিই কিট পরে বাবার শেষকৃত্য সারেন ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। এদিন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গ্যান স্যালুটের মাধ্যমে প্রথম বাঙালী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে শেষবিদায় জানানো হয়।