নিউজ ডেস্ক: আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। এরপর আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওনাকে। সূত্রের খরব, তাঁকে আইসিইউ-তে রেখে তার চিকিৎসা করবেন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমতে থাকে বুদ্ধদেব বাবুর। এরপর তা কমে ৯০-এর নীচে নেমে যায়। তারপরই তাকে বাড়িতে না রেখে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিত্সকরা।
করোনা আক্রান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের গত কয়েকদিন ধরে বাড়িতেই চিকিত্সা করা হচ্ছিল।তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।অক্সিজেন স্যাচুরেশনের সমস্যা থাকায় তাঁকে বাইপ্যাপ দেওয়া হচ্ছিল। সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সিওপিডি সমস্যা রয়েছে। সোমবারেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা সুচেতনা জানিয়েছিলেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এদিন রাত থেকে আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিত্সকরা আর তাঁকে বাড়িতে রেখে চিকিত্সার ঝুঁকি নিলেন না।
উল্লেখ্য, আগে থেকেই সিওপিডিতে গুরুতর অসুস্থ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, যে কারনে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন তিনি। বাড়িতেই রয়েছে অক্সিজেনের ব্যবস্থা এবং প্রায়ই সেই সাহায্য নিতে হয়। তাঁর শরীরের ওপর নজরদারি করার জন্য একজন সহকারি কাম চিকিৎসক থাকেন। কিছুদিন আগেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বেলভিউ ক্লিনিকে ভর্তি ছিলেন বুদ্ধবাবু। এছাড়াও, একাধিক অসুস্থতা রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। সেকারণে অনেকদিন ধরেই তিনি প্রায় ঘরবন্দি। এই প্রথম ব্রিগেডের সমাবেশে উপস্থিত থাকতে পারেননি। আর সেই কারণেই বুথে গিয়ে তাঁকে ভোটদানের অনুমতি দেননি চিকিৎসকেরা৷ কারন তাঁদের আশঙ্কা ছিল ভোট দিতে গিয়ে কোনও ভাবে ভাইরাসের সংস্পর্ষে এলে জটিল হতে পারে পরিস্থিতি।
কিন্তু তাতেও এড়ানো যায়নি করোনার থাবা। দিন কয়েক আগেই সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু হাসপাতালে যেতে নারাজ ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বুদ্ধদেব বাবুর চিকিৎসা বাড়িতে করা হলেও, তার স্ত্রীকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বিশেষত শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়ায় মীরা ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁকে আগামী ৭ দিন হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন ভাল আছেন।
উল্লেখ্য,২০০০ থেকে ২০১১ সালের পর্যন্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০১১ সালে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল ভোটে জিতে রাজ্যের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।