জংলি ট্রাউজার, শ্যু ছিল, ছিলনা হেলমেট |
নিজস্ব সংবাদদাতা: আবারও ঘন কুয়াশার কারনে দুর্ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুরে মৃত্যু হল একজনের। কয়েকদিন আগেই গড়বেতায় এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর পর সোমবার বেলদা থানা এলাকার রাজ্য সড়কে প্রান গেল এক যুবতী গৃহবধূর। এদিন খুব ভোর বেলায় ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খাকুড়দা থকে তুরকা গামী রাজ্যসড়কের বাঘগেড়িয়ার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বেলদা থানার জোড়াগেড়িয়া পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দাঁতন থানার রামচন্দ্রপুর থেকে ট্রেন ধরতে স্কুটিতে বেলদা আসছিলেন , বছর ৩৭ এর শোভা দাস ও বছর ২২এর দিপীকা ধাড়া।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশ জানিয়েছে ওড়িশায় এক চিকিৎসকের কাছে কিছু শারীরিক সমস্যা নিয়ে পরামর্শ নিতে যাচ্ছিলেন ওই দুজন। স্কুটি চালাচ্ছিল দীপিকা। ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঘন কুয়াশার মধ্যেই আসছিলেন তাঁরা । সাবড়া পেরিয়ে আসার পরে বাঘগেড়িয়ার কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ধান বোঝাই লরি প্রথমে ধাক্কা মারে স্কুটিকে পরে দিপীকার ওপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। গুরুতর জখম অবস্থায় শোভাকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। দুজনেরই কেউই হেলমেট ব্যবহার করেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মৃতা দীপিকা খুবই সপ্রতিভ ও স্মার্ট ছিলেন। তাঁর স্বাধীনচেতা মনোভাবের জন্যই স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ৬বছরের মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকতেন তিনি। শীতের দাপট এড়াতে ব্যবহার করতেন জ্যাকেট ও ট্রাউজার। স্কুটি চালানোতে যথেষ্টই পারদর্শী ছিলেন তিনি। যদিও কেন তিনি হেলমেট ব্যবহার করেননি তা বিস্মিত করেছেন পুলিশকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশ জানিয়েছে সম্ভবত ঘন কুয়াশার কারনে দৃশ্যমানতা কম থাকায় লরির চালক উল্টো দিক থেকে আসা স্কুটির অবস্থান ঠিক করতে পারেনি। জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়ি পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। ঘাতক লরিটিকে আটক করেছে বেলদা থানার পুলিস। তবে চালক পলাতক বলে জানা গেছে। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাষ দিয়েছিল যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারনে তাপমাত্রার উর্ধগতির ফলে ঘন কুয়াশার দাপট চলছে। তাই রাজ্য পরিবহন মন্ত্রক জাতীয় ও রাজ্য সড়কে যান চলাচলে সতর্ক বার্তাও জারি করেছে। বলা হয়েছে কুয়াশা জনিত দুর্ঘটনা এড়াতে ‘ফগ কাটার’ আলো ব্যবহার করতে হবে লরি, বাস ইত্যাদিকে। এক্ষেত্রে লরির চালক তা ব্যবহার করেছিল কিনা ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অন্যদিকে বারংবার পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরামর্শ ও সচেতনতার অনুষ্ঠান করার পরেও স্কুটি বাইক চালকরা সতর্ক না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছে পুলিশ।জোড়াগেড়িয়া পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সেফ ড্রাইভ , সেভ লাইফ নিয়ে আমরা নিরন্তর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। দুর্ঘটনা যে কোনও কারনেই ঘটতে পারে। হেলমেট পরা থাকলে বাঁচার সম্ভাবনা নব্বই থেকে পঁচানব্বই শতাংশ থাকে। এই ক্ষেত্রে ওই যুবতীর মৃত্যু বা অন্যজন আহত হতে নাও পারতেন।