ওয়েব ডেস্ক : একা রামে রক্ষা নেই তায় সুগ্রীব দোসর! করোনা আর লকডাউনের ধাক্কার মধ্যেই আগেই ঘূর্ণিঝড় আমফান লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ। রাজ্যের হিসাবে ১লক্ষ কোটি টাকার সেই ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই এবার বন্যায় ভাসতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। জুনেই বন্যায় ভাসতে পারে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বহু এলাকা। এমনটাই পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের।
আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই রাজ্যে ঢুকে পড়েছে বর্ষা। এবছর প্রথম থেকেই রাজ্যে অত্যন্ত সক্রিয় মৌসুমি বায়ু৷ এর জেরে প্রথম থেকেই পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ব্যাপক । আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, এবছর শুরুতেই প্রবল সক্রিয় মৌসুমি বায়ু। যার জেরে জুন মাস জুড়ে ব্যাপক বৃষ্টি হতে পারে গোটা পশ্চিমবঙ্গে। আগামী ১০ দিনে কলকাতায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ১৫০ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও ব্যাপক বৃষ্টি হতে পারে ছোটনাগপুর মালভূমিতে। এর ফলে ডিভিসির বাঁধগুলি থেকে জল ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা যাচ্ছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা সৃষ্টি হতে চলেছে। যা ক্রমশ এরাজ্যের উপকূলের দিকে এগোবে। তার সঙ্গে মৌসুমি অক্ষরেখা মেশার ফলে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম-সহ উত্তরপূর্ব ও ছত্তিসগড়ে ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর জেরে নিচু এলাকাগুলিতে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি আগামী ১০ দিনে গোটা ছোটনাগপুর মালভূমিতে ১০০–১৫০ মিমি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। যার ফলে দামোদর ও তার শাখানদীগুলির জলস্তর ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৮ -২০ জুন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হবে৷ এদিকে ২১ জুন সূর্যগ্রহণ। কিন্তু গত কয়েকদিনের বৃষ্টির জেরে ওইদিন আকাশ থাকবে মেঘলা। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের কোনও জায়গা থেকেই সূর্যগ্রহণ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে শুধু কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গ নয় উত্তরবঙ্গেও ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তরাই ডুয়ার্সে আগামী ১০ দিনে ২৫০ মিমির বেশি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এর ফলে ডুয়ার্সের নদীগুলিতে ব্যাপক প্লাবনের সম্ভাবনা রয়েছে।