নিজস্ব সংবাদদাতা: রাস পূর্ণিমার পর চতুর্থ দিনের মাথায় শুরু হওয়া উৎসবের শেষদিন মঙ্গলবার আশেপাশের তিনটি থানা এলাকার মানুষ ভেঙে পড়েছেন মহাপ্রভুর প্রসাদ গ্রহনের জন্য। আর নিপুন দক্ষতায় স্বেচ্ছাসেবক বৃন্দ পরিবেশন করছেন অন্নভোগ। বেলা সাড়ে দশটা থেকে চলবে প্রায় ৭ঘন্টা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবংয়ের দশগ্রামে শুরু হয়েছিল ঐতিহ্যর রাস উৎসব ও মেলা।এবছর এই উৎসব ১২তম বর্ষ পদার্পন করলো। দশগ্রামের সেবকসংঘ মাঠের এই রাস উৎসবে প্রতিদিনই দর্শনার্থী এসেছেন প্রায় ১০হাজার। বৈষ্ণবাশ্রিত এই এলাকা সবং ছাড়াও নারায়নগড় ও পুর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানা লাগোয়া। আর সেই কারনে প্রতিদিনই ভক্ত সমাগম হয়েছে কাতারে কাতারে।
অনুষ্ঠানের মুল আয়োজক কৃষ্ণ বলরাম জিউ ট্রাস্ট। ট্রাস্টের সম্পাদক তপন কুমার সেনাপতি জানালেন, ‘আমাদের এই রাস মেলা ও উৎসবের অন্যতম বৈশিষ্ট হল এই তিন থানা এলাকা কিংবা তারও আশপাশে যে সমস্ত মহাপ্রভুর দারুমূর্তি অবস্থান করেন সেই রকম ৩৩গাদি মহাপ্রভু এখানে সমবেত হন ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তাঁদের গাড়ি করে আনা ও পৌঁছে দেওয়ার কাজ ট্রাস্ট করে থাকে। এছাড়াও দেবদেবী ৩০টি ঢাক,তাসা সহযোগে জমজমাট সন্ধ্যা আরতি হয় । চলে ভগবৎ ও চণ্ডিপাঠ। কীর্তন, পালা কীর্তন। যাত্রা , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিদিন ২০০০মানুষ এখানে অন্নপ্রসাদ গ্রহন করেন।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই তিন সংলগ্ন প্রতিটি পরিবারই এই সময়ে আত্মীয় বন্ধু বান্ধব মেয়ে জামাইয়ে পরিপূর্ণ। ধর্ম আলোচনার পাশাপাশি চলে সামাজিক বিষয়ে আলোচনা চক্র। এবছর যেমন বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্ম বার্ষিকীতে সমাজ সংস্কারে তাঁর অবদান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ধর্মকথায় অংশ নিয়েছেন কনিষ্ক মহারাজ।