নিজস্ব সংবাদদাতা: খোদ মহানগরের বুকেই গৃহবধুকে অপহরনের চেষ্টা আর তাতে বাধা দিতে গিয়ে অপহরনকারীদের গাড়ির চাকার তলায় পিষে গেলেন শ্বশুর জের প্রাণ দিয়ে পুত্রবধূর সম্ভ্রম রক্ষা করলেন শ্বশুর। শহর কলকাতার ট্যাংরা এলাকার গোবিন্দ ফটক রোডের ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসি।মঙ্গলবার রাতে ঘটনা ঘটে যখন ওই তরুনী গৃহবধুটি একটি নিমন্ত্রণ রক্ষা করে ফিরছিলেন । জানা গেছে বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে ওই মহিলাকে অপহরণের চেষ্টা করে দুই যুবক। তাদের কাজে বাধা দেন শ্বশুর। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালানোর সময় অ্যাম্বুল্যান্সের চাকায় পিষ্ট হন ওই প্রৌঢ়। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বিয়ে বাড়ি ছিল ট্যাংরা ক্রিস্টোফার রোডের এক পরিবারের। আর পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শ্বশুর। সঙ্গে ছিলেন মহিলার মামাশ্বশুরও। বিয়েবাড়ি সেরে বাড়ি ফিরতে বেশ রাত হয়ে যায় তাঁদের। অভিযোগ, ফাঁকা রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসার সময় একটি অ্যাম্বুল্যান্স তাঁদের ধাওয়া করতে শুরু করে। প্রথমে তা বুঝতে পারেননি কেউই। তবে ট্যাংরা গোবিন্দ খটিক রোডে মহিলার পথ আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে ওই অ্যাম্বুল্যান্সটি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অভিযোগ, সেই সময় অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে ছিল দু’জন যুবক। তারা জোর করে মহিলাকে অ্যাম্বুল্যান্সে টেনে তোলার চেষ্টা করে। তাতে বাধা দেন মহিলা। চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। তা শুনতে পেয়েই অ্যাম্বুল্যান্সের সামনে চলে আসেন তাঁর শ্বশুর এবং মামাশ্বশুর। মহিলার চিৎকার শুনে স্থানীয়রাও জড়ো হতে শুরু করেন। গৃহবধূকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন তাঁর শ্বশুর এবং মামাশ্বশুর।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত দুই যুবক। অ্যাম্বুল্যান্সের সামনে চলে আসেন মহিলার শ্বশুর। তাকে পিষে দিয়ে বেরিয়ে যায় অ্যাম্বুল্যান্সটি। তড়িঘড়ি প্রৌঢ়কে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে চিকিৎসকরা জানান, মারা গিয়েছেন ওই প্রৌঢ়।
এদিকে রাতেই তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হল দক্ষিন ২৪পরগনার মহেশতলা থানা এলাকার দৌলতপুরের বাসিন্দা সেখ আবদুর রহমান (২৬) এবং ওই একই জেলার বিষ্ণুপুর থানার বিবির হাটের বাসিন্দা তাজ উদ্দীন (২০)। ওদের ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্সটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
ঘটনার পেছনে কোনও পুরোনো শত্রুতা নাকি অন্য কিছু রয়েছে খোঁজ করছে পুলিশ।