নিউজ ডেস্ক: করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও রোগী ফেরাতে পারবে না হাসপাতাল। শুক্রবার স্পষ্টতই এই নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে না পেলে রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে একাধিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে। বিশেষত মেডিক্যাল কলেজগুলির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রতিনিয়ত উঠছে। এই অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রয়োজনে রোগীকে সারি ওয়ার্ডে রেখে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করে রিপোর্ট জানতে হবে। স্থিতিশীল না হলে রোগীকে অন্য কোনও হাসপাতালে পাঠানো যাবে না। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, বেড না থাকলে যদি রোগীকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়, সেক্ষেত্রে যে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে সেখানে বেড আছে কি না, তা আগে নিশ্চিত করতে হবে।
কোভিড ভ্যাকসিনের ঘাটতি থাকায় রাজ্যজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছে আরও ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছে রাজ্য। দেড় কোটি রাজ্যবাসীর জন্য ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়ে চিঠি দিয়েছে নবান্ন। এরমধ্যে সরকারি হাসপাতালের জন্য ২ কোটি এবং বেসরকারি হাসপাতালের জন্য ১ কোটি ভ্যাকসিনের আবেদন করা হয়েছে৷
বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালের ভ্যাকসিন সঙ্কটও দ্রুত মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেষ্টা করা হচ্ছে বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। ১লা মে থেকে শুরু হচ্ছে তৃতীয় দফার টিকাকরণ। তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।
সেইসঙ্গেই করোনা মোকাবিলায় শুক্রবারই রাজ্য জুড়ে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। করোনা মোকাবিলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজ্যে বন্ধ থাকবে শপিং মল, সিনেমা হল, স্পা, জিম ও রেস্তোরাঁ। তবে চালু থাকবে হোম ডেলিভারি। সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং দুপুর ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাজার। শুধুমাত্র ওষুধের দোকান ও জরুরি পরিষেবার দোকানগুলি খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। পাশাপাশি ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজয় মিছিল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনেই করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।