![](https://1.bp.blogspot.com/-ptMz6NITq5c/XiAzi0ELRoI/AAAAAAAANt0/jfx1PNRmbj4vZM1Ypt5jwX4nRSymtBg8wCLcBGAsYHQ/s1600/IMG_20200116_152415.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: নজির বিহীন ভাবে শহরের ঢুকে এক ব্যক্তিকে আছড়ে মারল হাতি। একই দিনে ঝাড়গ্রামে আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হল। পরপর দুটি মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে অরন্য শহরে। পুলিশ ও বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে বুধবার রাতে শ্মশান থেকে ফেরার সময় এক ব্যক্তি গজরাজের সামনে পড়ায় তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে হাতিটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম থানা এলাকার নুনিয়াকুন্দড়ি গ্রামে রাতে আগুন পোহানোর সময় হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে আরেকজনের।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খোদ শহরের মধ্যে হাতির এই তাণ্ডবে নিরপত্তাহীনতায় ভুগছেন ঝাড়গ্রাম শহরের মানুষ। কারন শহরের গা ঘেঁষেই জঙ্গল লাগোয়া অঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছে আবাসিক হাতিটি। কিছুদিন আগেই রাতের অন্ধকারে ঝাড়গ্রাম শহরে হাতি ঢুকে রাতভর ঘুরে বেড়িয়েছিল একটি দাঁতাল। স্টেডিয়ামের দিক থেকে ঢুকে স্টেশনপাড়া ঘুরে বেড়ানো হাতিটিকে জঙ্গলে পাঠাতে হিমসিম খেতে হয় বনকর্মীদের। সেবার হাতির সঙ্গে রাত জেগেছিল শহরও। এছাড়া প্রায়শই ঝাড়গ্রাম শহরের মুখে খাদ্যের সন্ধানে রাজ্যসড়কে হাতির রাহাজানিতো আছেই। কিন্তু শহরের মধ্যে ঢুকে মানুষ মারার ঘটনা এর আগে হয়েছে বলে মনে করতে পারছেননা শহরবাসি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জানা গেছে বুধবার রাতে ঝাড়গ্রাম শহরের বামদা এলাকার মেহেরবাঁধ শ্মশান থেকে ফেরার পথে হাতির সামনে পড়ে যান সুভাষ মাহাতো নামে বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি। তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মেরে ফেলে দেয় উন্মত্ত হাতিটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।অন্যদিকে মনোরঞ্জন মাহাতো নামে আরেক ব্যক্তি নুনিয়াকুন্দড়ি গ্রামে রাতে আগুন পোহাচ্ছিলেন। সেসময় একটি পূ্র্ণবয়স্ক হাতি পিছন থেকে এসে আক্রমণ করে আছাড় মারে। তাঁরও মৃত্যু হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হলেইচ্ছি জানিয়েছেন “ঘাতক হাতিটিকে জঙ্গলের গভীরে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃ্ত্যুর দুটি ঘটনার ক্ষেত্রেই নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” যদিও আতঙ্কিত মানু্ষের বক্তব্য জঙ্গল থেকে হাতির ফিরে আসতে কতক্ষণ ?