ওয়েব ডেস্ক: দীপাবলির আগে কলকাতা শহরের একের পর বস্তিগুলিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। গত মঙ্গলবারই তোপসিয়ার বস্তিতে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের জেরে পুড়ে ছাই হয়ে যায় প্রায় ৫০ টিরও বেশি ঝুপড়ি। এই ঘটনার ৪৮ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার ভোররাতে ফের অগ্নিকাণ্ডের শিকার হল কালিঘাটের পটুয়া বস্তি। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে নাগাদ আচমকা কালিঘাটের পটুয়াপাড়ার একটি একতলা ঘরে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। আগুন লেগেছে বুঝতে পেরে আশেপাশের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসে বাসিন্দারা। এদিকে আগুন দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। স্থানীয়দের তরফে দ্রুত দমকলে খবর দেওয়া হলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এতটাই মারাত্মক ছিল যে কোনোভাবেই তা বাগে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। শেষমেশ প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন দমকলকর্মীরা।
জানা গিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের জেরে ঘুমন্ত অবস্থাতেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বীভা পাল নামে বছর ৬৫-র এক বৃদ্ধার। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয় ওই বৃদ্ধার ভাইপো। বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে যেহেতু আগুন খুব বেশী ছড়িয়ে পড়তে পারেনি সেহেতু বড়সড় দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে কালিঘাটের পটুয়াপাড়া। অভিযোগ, ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় এদিন এই এলাকার সরু গলি দিয়ে ভেতরে ঢুকতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকলবাহিনীকে।
তবে আচমকা কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্টভাবে বলতে পারেনি দমকলকর্মীরা। তবে জানা গিয়েছে, এদিন ওই বৃদ্ধার ঘর থেকে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান রান্নার গ্যাস লিক করেই আগুন ধরেছে। তবে ঘটনায় দমকলকর্মীদের তরফে জানানো হয়েছে, যে ঘরটিতে আগুন লেগেছে সেই ঘরটি অনেক ছোট ছিল। কিন্তু তার তুলনায় ঘরের মধ্যে বেশিরভাগই দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় তা থেকেই আগুন লেগেছে বলেই পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।