Homeএখন খবরস্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে কবে? প্রশ্ন তুলে খড়গপুরে অবস্থান সত্যাগ্রহে পশ্চিম মেদিনীপুর...

স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে কবে? প্রশ্ন তুলে খড়গপুরে অবস্থান সত্যাগ্রহে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ছাত্রপরিষদ

নিজস্ব সংবাদদাতা: মাধ্যমিক আর উচ্চ মাধ্যমিকের সময় সুচি ঘোষণা করে দিয়েছে সরকার কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা নিয়ে এখনও সরকারের তরফে কোনোও বার্তা নেই। অন-লাইন পাঠক্রমের মধ্যে দিয়ে জীবনের চূড়ান্ত পরীক্ষায় কতখানি সফল হতে পারবে পড়ুয়ারা? কেবলমাত্র পাশ করানোর লক্ষ্য নিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা ছেলে মেয়েদের ভিত কতটা শক্তিশালী করতে পারবে এমনই প্রশ্ন তুলে পড়ুয়াদের ক্যাম্পাস ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে খড়গপুর শহরে অবস্থান সত্যাগ্রহে অংশ নিলেন ছাত্র পরিষদের কর্মী সদস্যরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির পক্ষে আয়োজিত এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হল রবিবার, খড়গপুর শহরের ইন্দা মোড়ে।

তারই পাশাপাশি কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয়গুলির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক বন্ধ রেখে দেওয়া ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়াও অবিলম্বে চালু করার দাবিতে সোচ্চার হতে দেখা গেল তাঁদের। এরই পাশাপাশি দিল্লী সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের প্রতি সহমর্মিতা, সদ্য পাশ হওয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার, বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থান এবং পেট্রল ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যেবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানানো হল এই সভা থেকে।

শহরের ইন্দা মোড়ে বেলা ১০টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত এই সত্যাগ্রহ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সোমদীপ ঘোষ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম সম্পাদক আকাশ লাল ও অরিত্র দে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন। জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল মুখার্জি বলেন, ” মজার বিষয় হচ্ছে রাজ্যে খেলা মেলা সবই মহানন্দে সরকারি উদ্যোগেই হয়ে চলেছে খালি যত সমস্যা যেন ছাত্রছাত্রীদের ক্যাম্পাসে ফেরানো নিয়ে। গোটা একটা শিক্ষা বর্ষ নষ্ট হয়ে গেল ছাত্রছাত্রীদের। তাদের হয়ত সরকারি বদান্যতায় পাশ করিয়ে দেওয়া হবে কিন্তু তাদের প্রকৃত শিক্ষায় যে ঘাটতি রয়ে গেল তার কী হবে? সবচেয়ে বড় কথা সরকারের কোনও পরিকল্পনাই নেই, উদ্যোগ নেই। নির্বিকার হয়ে পড়ুয়াদের সর্বনাশ দেখছে।”

তিন ঘন্টা ব্যাপী জেলা ছাত্রপরিষদের এই সত্যাগ্রহের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন জেলা যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ছোটন সেন, শহর যুব কংগ্রেসের সভাপতি অমিত শর্মা, রাজ্য যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অলকেশ মহাপাত্র প্রমুখরা। যুব কংগ্রেস নেতৃত্ব বলেন, রাজ্যের সরকার ভোটের আগে ফের শিক্ষিত যুবকদের প্রবঞ্চিত করার জন্য কর্মসংস্থানের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। গত ১০বছর যারা এ রাজ্যে কর্মসংস্থান সঙ্কুচিত করেছে তারা নতুন করে কর্মসংস্থান করবে এমন ভাবনা কার্যত ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়।

এদিন দিল্লীর উপকন্ঠে কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভের সমর্থনে সভায় বক্তব্য রেখেছেন খড়গপুর পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর মধু কামী, দেবাশীষ ঘোষ,অমর চ্যাটার্জীরা। সভা থেকে দাবি ওঠে ৩টা কৃষক আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। অতিমারি পর্বে মানুষ যখন কাজের সুযোগ পাচ্ছেনা, যখন মানুষের আয় কমছে তখন সরকারের মদদপুষ্ট বেনিয়া তেল ও গ্যাস কোম্পানি গুলি দাম বাড়িয়ে চলছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular