নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার করোনায় হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুর সাংসদ দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার সন্ধায় তার করোনা নিশ্চিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এই মুহূর্তে ব্যাপক জ্বর রয়েছে সাংসদের শরীরে। কলকাতার একটি নামি বেসরকারি হাসপাতালে একটি চিকিৎসক গোষ্ঠীর বিশেষ পর্যবেক্ষনে রয়েছেন তিনি। ৮ তারিখ, বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন দিলীপ। শনিবার থেকেই একটু অস্বস্তি বোধ করছিলেন কিন্তু বড় ধরনের অসুস্থ হয়ে পড়েন সোমবার। দিনের সমস্ত কাজ বাতিল করে সেদিন ঘরেই ছিলেন তিনি। ৩ দিন কেটে যাওয়ার পর শুক্রবার প্রবল জ্বরে কাহিল হয়ে পড়েন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। করোনা পরীক্ষা আগেই করানো হয়েছিল। এদিন সেই রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করা হয় সল্টলেক আমরি হাসপাতালে।
বিজেপির কলকাতা কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপ ঘোষকে রাখা হয়েছে এইচডিএইতে। ১০২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড জ্বর রয়েছে তাঁর। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। প্রয়োজনীয় ওষুধপথ্য চলছে। উল্লেখ্য সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোরই একের পর এক শীর্ষ নেতা আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্য বিজেপির আরেক নেতা অনুপম হাজরা সুস্থ হলেও এখনও আইসিইউতেই রয়েছেন। তারপর দিলীপ ঘোষের আক্রান্ত হওয়ার খবরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজ্যের গেরুয়া শিবিরে।
বিগত কয়েকদিন ধরে বেশ কিছু সভা, বৈঠকে হাজির ছিলেন দিলীপ ঘোষ। খড়গপুরে এসেছিলেন ৪তারিখ। ৫তারিখ সকালে খড়গপুরে চা চক্রে অংশ নেওয়ার পর তালবাগিচা রথতলা এলাকায় একটি হনুমান মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর ওইদিনই কলকাতায় ফিরে যান তিনি। দিলীপ ঘোষ খড়গপুর থেকেই সংক্রমিত হয়েছেন কিনা একথা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়না। হতেও পারে যে তিনি নবান্ন অভিযানে গিয়েই সংক্রমিত হয়েছেন। কিন্তু ঘটনা এটাই যে কাকতলীয় হলেও তৃণমূলের আরেক নেতা খড়গপুরে সভা করে কলকাতা ফেরার পরই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। ঘটনা এটাও যে খড়গপুরে করোনা সংক্রমনের হাল এখনও উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে রাজ্য সভাপতি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন খবর পাবার পরই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয় বর্গীয় রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সংগে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে চলেছেন। ঘোষের শারীরিক অবস্থার প্রতি মূহুর্ত্তের আপডেট দিতে হচ্ছে তাঁকে। অর্জুন সিংহ, মুকুল রায় প্রমুখরা যোগাযোগ রাখছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সাথে।