বিশ্বজিৎ দাস: নির্বাচনী সভায় এসে হামলার শিকার হলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গাড়ি লক্ষ্য করে উড়ে এল ইট পাথর, এমনকি বোমাবাজি হয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনায় দিলীপ ঘোষের গাড়ি সহ বেশকিছু গাড়ি ভাঙ্গচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত ২ পক্ষের বেশ কয়েক জন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও।
শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের পঞ্চায়েত সমিতির মাঠে বুধবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের একটি নির্বাচনী সভা ছিল। পাশাপাশি এদিন ভবেরহাট এলাকায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী সভা ছিল শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়ের সমর্থনে।
জানা গিয়েছে, দিলীপ ঘোষের সভা শেষ হয়েছিল, সেই সময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা শেষ করে ফিরছিলেন ভবেরহাট এলাকা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা। সেই সময় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নির্বাচনী সভার পাশ দিয়েই তারা যাচ্ছিলেন, তখন একদিকে জয় বাংলা ধ্বনি দেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের সভা থেকে বিজেপি সমর্থকেরা জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেন। কিছু সময়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুপাশ থেকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর বোমা, পাথর নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সভা শেষ করে গাড়িতে ওঠার পর তার গড়িতে হামলা চালানো হয়। ভেঙে দেওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ির কাঁচ এবং শীতলকুচি বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী বরেন চন্দ্র বর্মনের গাড়ি সহ বেশকিছু গাড়ি ভাঙ্গচুর করা হয় বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি ও দোকান ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এদিন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শীতলকুচি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এলাকা থমথমে রয়েছে।
ঘটনায় তৃণমূল এবং বিজেপি বেশ কয়েকজন আহত বলে জানা গিয়েছে। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঠি ও পাথরের আঘাতে বেশ কিছু সাংবাদিক আহত হন। এমনকি দিলীপের বাম হাতেও দিকে আঘাত লেগেছে বলে দাবী করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, ”আমার গায়ে চোট লেগেছে। বাঁ দিকের হাতে লেগেছে। বোমা, ইট নিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা। এমন অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।’
ফেসবুক পোস্টে ভিডিও বার্তায় দিলীপ আরও বলেন, “আজ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হল। সভার পর বোমা-বন্দুক নিয়ে আক্রমণ হয়েছে। চারদিক থেকে বোমা, পিস্তল নিয়ে হামলা হয়েছে। তালিবানদের মতো অবস্থা।“
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী পাপিয়া অধিকারী। তার একদিন যেতে না যেতেই পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ দফার ভোটের মুখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর হামলার অভিযোগ উঠল।