নিজস্ব সংবাদদাতা: ৭৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক, ৪৫টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, ৩৭৪ জন আক্রান্তকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া,প্রায় ৪হাজার মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইন করা এবং সুবিধা দেওয়া কে করেছে? পুলিশ। তারপরেও পুলিশ লকডাউন সামলেছে, ট্রাফিক সামলেছে, আইন শৃঙ্খলা সামলেছে, ভিআইপি সামলেছে, রক্তদান শিবির করে রক্ত দিয়েছে, ৩০০ মানুষ হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি পৌঁছেছে দিয়েছে, বাজারে সোশ্যাল ডিস্টেন্স সামলেছে ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। তবুও কেন করোনা বাড়ছে? ওই আর কি! বুঝে গেলেন ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ পশ্চিমবঙ্গ শ্রী বীরেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার একদিকে জেনারেল রেলওয়ে পুলিশ বা জিআরপি আর অন্যদিকে সালুয়ায় অবস্থিত রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের প্রশিক্ষন কেন্দ্রের দুটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসে বৃহস্পতিবার খড়গপুর পৌরসভার কনফারেন্স হলে আইজি ডিআইজি পুলিশ সুপার সহ সমস্ত পুলিশ পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে জেনে নিলেন কিভাবে বিশাল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিকের চাপ সামলেছে পুলিশ। আলাপচারিতায় জানিয়েদিলেন কন্টেনমেন্ট জোন আর নতুন লকডাউন সম্পর্কে সরকারের মনোভাব। জানলেন জেলা আর খড়গপুর শহরের করোনা পরিস্থিতি ও পুলিশের ভূমিকা। অতঃপর যে প্রশ্নটা থেকে যায় তবুও কেন? মৃদু স্বরে শীর্ষ এক আধিকারিক জানালেন ওই আর কি! তেনাদেরই বাগে আনা যাচ্ছেনা।
ওই আর কি, কী? ডিজি জানতে চাননি আর। ওই আর কি মাস্ক না পরার অভ্যাস, ওই আর কি পাশাপাশি বসে মিটিং করা,ওই আর কি সোশ্যাল ডিস্টেন্স না মানা, তেনাদেরই বাগে আনা যাচ্ছেনা, আরও কত কি হতে পারে! মিটিং থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ডিজি জানিয়ে দিয়েছেন পুলিশ যথেষ্ট ভাল কাজ করছে।
এদিকে বৃহস্পতিবারও করোনার শনি ছাড়েনি খড়গপুরকে। বুধবার সারা জেলায় যে অমীমাংসিত ৩৫ টি ফল ছিল তারমধ্যে ৯টি পজিটিভ পাওয়া গেছে।
৩৫ য়ের মধ্যে ৯ অমীমাংসিত ছিল খড়গপুরের আর তা থেকে ১জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই একজন রেল এলাকার। সব মিলিয়ে এখন রেল এলাকাতেই ৬জন সক্রিয় পজিটিভ। বৃহস্পতিবার ৫০ জনেরও বেশি খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে নমুনা প্রদান করে গেছেন করোনা পরীক্ষার জন্য।