নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশের সঙ্গে রাজ্য জুড়ে চলছে লক ডাউন। প্রায় সমস্ত পৌরশহর, কোথাও আবার একটা আস্ত জেলাই এই লক ডাউনের আওতায়। মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী স্বয়ং নির্দেশ দিয়েছেন, কঠোর ভাবে লক ডাউন বলবৎ করবে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। যাঁরা অবাধ্য হবেন সরকার কঠিন ভাবে দমন করবেন। সেই মত পুলিশ নেমেছে লক ডাউনের আওতায় থাকা শহরগুলিতে। এক সাথে ৭জনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ। কিন্তু মূখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ভঙ্গ করছেন স্বয়ং বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারই। লকডাউনের ঝাড়গ্রামে মঙ্গলবার যেন মেলা বসে গেল ডেপুটি স্পিকার তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদার বাড়ির সামনে। আর সেই মেলায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল পুলিশ কর্মীদেরও।
ডেপুটি স্পিকারের স্ত্রীর নামে রান্নার গ্যাসের ডিলারশিপ, ক্ষুদিরাম এন্টারপ্রাইজ। ঝাড়গ্রাম শহরে আরও কয়েকটি গ্যাসের এজেন্সি আছে যারা বাড়িতে বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ করে থাকেন কিন্তু প্রাক্তন মন্ত্রীর স্ত্রীর এজেন্সিতে তা চলেনা। সেখানে তাঁর বাড়িতে গিয়েই আনতে হয় গ্যাস। আনলে আন না আনলে ফোট। এমন কি এই যে লকডাউন যেখানে এত মানু্ষের এক সঙ্গে জড়ো হওয়া বারন। যেখানে খোদ মূখ্যমন্ত্রী হাত জড়ো করে বারবার মানুষকে অনুরোধ করছেন মানুষকে বাইরে বের হতে না সেখানে শাসকদলের নেতা, ডেপুটি স্পিকারের পক্ষ থেকেই মানুষকে কাতারে কাতারে জড়ো হতে বাধ্য করা হচ্ছে। কারও কিছু বলার নেই। এমন কি পুলিশেরও।
মানুষ অসহায়! লকডাউনের ফলে পাছে সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। রান্নার গ্যাস না পাওয়া যায় তাই পড়িমরি করে মানুষ ছুটেছেন গ্যাস আনতে। এই পরিস্থিতিতে ডেপুটি স্পিকারের কি করা উচিৎ ছিল? নিশ্চিত ভাবেই এটা বলার যে, আপনারা বাড়িতে থাকুন, গ্যাস পৌঁছে যাবে। কিন্তু তার বদলে একই দেখল ঝাড়গ্রাম! কী পরিমান দায়িত্বজ্ঞানহীনতার নজির রাখলেন সরকারি নেতা? মূখ্যমন্ত্রীর কানে নিশ্চিতভাবেই এখবর পৌঁছাবে। নেতা হলেই বিধি ভাঙা যায় ? খেলা যায় করোনার মত ভয়ংকর ভাইরাসের সঙ্গে ?