নিজস্ব সংবাদদাতা: বাইক চুরি কাণ্ডে ফের বড় সড় সাফল্য পেল ডেবরা থানার পুলিশ। সবং ও ডেবরা এলাকা জুড়ে বাইক চুরি কাণ্ডে সক্রিয় ওই চক্রের আরো দু’জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে সোমবার গভীর রাতে তল্লাশি চালিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই দুজনকে। তারই সাথে উদ্ধার হয়েছে আরও ২টি চুরি যাওয়া বাইক।
এই নিয়ে এখনও অবধি মোট ৯জনকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি ৭টি বাইক উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই বাইক গুলি কোন কোন এলাকার এবং বাইকের আসল মালিক কারা তা খুঁজে বের করার জন্য আশেপাশের বিভিন্ন থানা এলাকায় দায়ের হওয়া অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে সোমবার রাতে সবংয়ের বড়সাহারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই দুজনকে। ধৃতরা হল সেখ আবু বক্কর ও সেখ আলতাফ।
এদের কাছ থেকে দুটি বাইকও উদ্ধার করেছে পুলিশ। নম্বর বদলে দিয়ে আপাতত এরাই ব্যবহার করছিল বাইক দুটি। ধৃতদের মঙ্গলবার মেদিনীপুর আদালতে পেশ করতে চলেছে বলে পুলিশ সুত্রে খবর। তবে পুলিশ জানিয়েছে আরও বেশ কয়েকজন যুক্ত আছে এই চক্রের সঙ্গে যার মধ্যে কয়েকজন রয়েছেন পার্শ্ববর্তী জেলার পাঁশকুড়া থানা এলাকার। এখনও অবধি সেখান থেকে এখনও তেমন লিড পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য এই বাইক চুরি চক্রের প্রথম লিড এসেছিল ৩দিন আগেই ১৯ তারিখ। ওই দ ডেবরা এবং সবং থানা এলাকায় একই সাথে তল্লাশি চালিয়ে রাতে গ্রেপ্তার করা হয় ৭জনকে। ওই ধৃত ৭জনের মধ্যে ২জন মূল পান্ডা চিক যারা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দিকের সমস্ত অপারেশন চালাতো উল্টো দিকে পূর্ব মেদিনীপুরেও এরকম পান্ডা রয়েছে এরকমই খবর রয়েছে পুলিশের কাছে। ধৃতদের পর দিন আদালতে পেশ করে ওই দুই পান্ডাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ফের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি চালানো হয়। যার ভিত্তিতে সোমবার এই ২জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
একটি সূত্র জানাচ্ছে বাইক চুরির পরই তার নম্বর প্লেট খুলে নিয়ে সন্ধ্যার পর তা পের করে দেওয়া হত অন্য জেলায়। কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় বাইকগুলি রাখা হত পরে খরিদ্দার যোগাড় করে তা বিক্রি করা হত কম দামে। পুলিশের ধারণা এই অপারেশনের খবর জানার পরই সতর্ক হয়ে গেছে এই চক্রের অনেকে তাই সন্তর্পনে জাল বিছিয়েছে পুলিশও। সতর্ক করা হয়েছে পুলিশের নিজস্ব সোর্সকে।