শশাঙ্ক প্রধান: আবারও সেই ডেবরা! আবারও এক আদাবাসী নাবালিকার দেহ মিলল খালের জলে। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে আড়াই কিলোমিটার দুরে ওই কিশোরীর অবিন্যস্ত দেহ মেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানা এলাকায়। ভূমিজ ক্ষেতমজুর পরিবারের ওই নাবালিকা বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নিখোঁজ হয়ে গেছিলেন এমনটাই দাবি করেছে পরিবার। জানা গেছে ডেবরা থানার জলিমান্দা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার অজমৎপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরী দুপুর বেলায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে মাঠের দিকে গিয়েছিলেন। প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল সেই সময়। তারপর আর বাড়ি ফেরেইনি।
এদিকে ডেবরা থানা এলাকারই পার্শ্ববর্তী থানা পিংলা সীমান্তবর্তী গ্রাম ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর। যা কিনা ওই কিশোরীর গ্রাম অজমৎপুর থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দুরে। ফুলচাষে সমৃদ্ধ সেই চণ্ডীপুর গ্রামের ফুলচাষীরা মাঠে ফুল চাষীরা তুলতে গিয়ে দেখে পিংলা বর্ডার এলাকার ডেবরা ব্লকের চন্ডীপুর গ্রামের ফুল চাষের মাঠেই একটি অগভীর স্যালোর গর্তের জলে পড়ে রয়েছে এক কিশোরীর দেহ। তার পরনের সালোয়ার অবিন্যস্ত। তাঁদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যার পর দেহ উদ্ধার করে। পরে খোঁজ খবর নিয়ে পুলিশ জানতে পারে দেহটি অজমৎপুর গ্রামের নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরী কিছুদিন আগে পালিয়ে বিয়ে করে। কিন্ত শ্বশুরবাড়িতে মাঝে মধ্যেই সমস্যা হত। সমস্যা হলেই সে মাঝে মধ্যেই বাপের বাড়িতে এসে থাকত। এবারও সেরকমই ছিল। গতকাল রাতে কিশোরীর সাথে সামান্য মন কষাকষি হয় বাবা মার সাথে। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বেরিয়ে যায়। কিন্তু মেয়েটি এতদুরে কেন এল তার জবাব মেলেনি এখনও। সে কি নিজে এসেছিল নাকি কেউ তাকে নিয়ে এসেছিল তা খুঁজছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া পুলিশ এখুনি বলতে রাজি নয় মেয়েটি খুন হয়েছে কিনা বা খুনের আগে ধর্ষণ হয়েছে কিনা ।
তবে স্থানীয়দের বক্তব্য, পুলিশ যখন দেহটি উদ্ধার করে তখন মেয়েটির পোশাকের উর্ধভাগ প্রায় অনাবৃত ছিল। মৃতদেহর আশপাশে কয়েকটি পায়ের ছাপ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে কিশোরীর মুখে গাঁজলার লক্ষণ ছিল। কিশোরীর বাবা মার সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য এই নিয়ে গত দেড়বছরে এমনই তিনটি ঘটনা ঘটেছে ডেবরা থানা এলাকায়। যারমধ্যে ২ কিশোরীর মৃত্যু হয়েছিল।