নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। বাংলা দখল করতে কোনও কসরত বাকি রাখেনি বিজেপি। তারপরেও ভোটে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি বিজেপি। এই কারণে ফলাফলের পরই ফের তৃণমূল ছেড়ে আসা নেতারা বেসুরো হতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ বিজেপি ছেড়েছেন। কেউ কেউ আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে দলে আশ্রয় খুঁজছেন। এই পরিস্থিতিতে তরুণ তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের একটি পোস্ট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দুরন্ত গতিতে ভাইরাল হয়েছে তাঁর সেই পোস্টটি।
বিধানসভা ভোটের আগে দেবাংশু ভট্টাচার্য ‘খেলা হবে’ স্লোগান তৈরি করেন। তাঁর সেই স্লোগান গোটা রাজ্যে শোরগোল তৈরি করেছিল। ভোটের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে গিয়ে সব দলবদল করা নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন দেবাংশু। ভোটের পর সেই নেতারাই যখন আবার বেসুরো গান গেয়ে দলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করছেন, তখন আর চুপ করে থাকতে পারলেন না বালির এই তরুণ তৃণমূল নেতা।
দলবদল নেতাদের জন্য একটি স্বীকারোক্তি ফর্ম তৈরি করে ফেলেছেন দেবাংশু। সেই ফর্মে নিজের নাম, বিধানসভা কেন্দ্র, লোকসভা কেন্দ্র লেখার জায়গা আছে। ঠিক তেমনই আবার তারা কী কারণে বেসুরো হয়েছিলেন বা আবার কী কারণেই বা সুরে ফিরতে চাইছেন, তারও বিভিন্ন অপশন দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁরা নিজেদের ধান্দাবাজ মনে করেন কী না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে এই স্বীকারোক্তি ফর্মে।
আর এসবের মধ্যে দিয়ে ফের একবার দেবাংশু সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। অনেকেই তাঁর এই ভাবনা তারিফ করে নানান মন্তব্যও করেছেন।
উল্লেখ্য, এরই মধ্যে বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করেছেন দীপেন্দু বিশ্বাস ও তাঁর দুই অনুগামী। গেরুয়া শিবির ছেড়েছেন কোচবিহার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভূষণ সিংও। এই তালিকায় রয়েছেন সাঁতরাগাছির সোনালী গুহও। তিনি তো দলে ফিরতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়কে চিঠিও লিখে ফেলেছেন। সেই চিঠি ট্যুইট করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেছেন তিনি। সোনালী লিখেছেন, ‘‘আমার প্রণাম নেবেন। আমি সোনালী গুহ, অত্যন্ত ভগ্নহৃদয়ে বলছি যে, আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম। সেটা ছিল আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত, কিন্তু সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনই আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে, বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন।“