Homeপশ্চিম মেদিনীপুরGoaltoreরক্ষকই ভক্ষক! গোয়ালতোড়ে মূক ও বধির কিশোরীকে ধর্ষনে অভিযুক্ত পালক পিতা

রক্ষকই ভক্ষক! গোয়ালতোড়ে মূক ও বধির কিশোরীকে ধর্ষনে অভিযুক্ত পালক পিতা

নিজস্ব সংবাদদাতা: যে রক্ষক সেই ভক্ষক! পালক পিতার ভরসায় মূক ও বধির মেয়েকে রেখে কাজে বেরিয়েছিলেন মা। সেই পালক পিতাই কিনা ধর্ষণ করল কিশোরীকে! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জঙ্গলমহল বলে খ্যাত গোয়ালতোড় থানা এলাকার এই ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকার মানুষ। মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে শিশু যৌন নির্যাতনের মামলা বা পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তক যুবকের নাম অক্ষয় কুমার ঘোষ। তার বাড়ি ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বারিপদা থানা এলাকায়। কর্মসূত্রে গোয়ালতোড়ের গ্রামে ওই কিশোরীর বাড়িতেই থাকত। শৈশবেই পিতৃহীন ওই কিশোরীকে মেয়ের মতই দেখতে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। যুবককে গ্রেপ্তার করার পর মঙ্গলবার ধৃতকে মেদিনীপুরের পকসো আদালতে তোলা হলে, বিচারক তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অক্ষয় কুমার ঘোষ গোয়ালতোড় এলাকায় একটি ফার্মে কাজ করতেন। বছর তেরোর ওই কিশোরীর বাবা মারা গেছেন অনেক আগেই। কিশোরীকে নিয়ে মা গোয়ালতোড়ের গ্রামে একাই থাকেন। কয়েকমাস আগেই কাজের সূত্রে ওই গ্রামে আসেন ওই যুবক। ভাড়া নেন কিশোরীর বাড়ি। যদিও পরের দিকে সম্পর্ক আর ভাড়াটে বাড়িওয়ালার ছিলনা। পরিবারের অপনজনেই পরিণত হন। দরিদ্র ওই পরিবারকে বিভিন্ন সময় সাহায্য সহোযোগিতা করত বলে জানা গেছে।

স্থানীয়দের কথায়, মেয়েটির বাবা মারা যাওয়ার পর মূক ও বধির ওই কিশোরীকে ওই যুবকই দেখাশুনো করত। এলাকায় সকলে পালিত বাবা বলে জানেন। সোমবার দুপুরে কিশোরীর মা যখন কোনও প্রয়োজনে অন্যত্র যান, তখন বাড়িতে একা পেয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বিকেলে ঘটনা জানাজানি হয়। মা ফিরে আসার পর কিশোরী মাকে সব জানায়। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় সন্ধ্যায় গোয়ালতোড় থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর মা।

অভিযোগ পাওয়ার রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত অক্ষয় কুমার ঘোষ কে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার ধৃতকে মেদিনীপুর পকসো আদালতে তোলা। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়ে চান। বিচারক ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিকে পরিবার ও স্থানীয় মানুষের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে এই অমানবিক ঘটানোর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় মানুষজনেরা। কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন তাঁরা।

RELATED ARTICLES

Most Popular