Homeএখন খবরদাসপুরের যুবকের বাবাও কোভিডি-১৯ পজিটিভ, পশ্চিম মেদিনীপুরের করোনা সংক্রমন বেড়ে ২

দাসপুরের যুবকের বাবাও কোভিডি-১৯ পজিটিভ, পশ্চিম মেদিনীপুরের করোনা সংক্রমন বেড়ে ২

নিজস্ব সংবাদদাতা: মুম্বাই ফেরৎ সোনার কারিগর পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার নিজামপুরের সেই যুবকের পর এবার তাঁর বাবাও কোভিড-১৯ সংক্রমনের শিকার বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। মঙ্গলবারই ওই যুবকের পরিবারের ৬ সদস্যকে দাসপুরের সরবেড়িয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেদিন তাঁদের মুখের লালা নমুনা হিসাবে পাঠানো হয় বেলেঘাটা আই.ডির ‘নাইসেড’ য়ে। বুধবার জানিয়ে দেওয়া হয়, সংগৃহিত নমুনার মধ্যে যুবকের ৫৪বছর বয়সী বাবার শরীরে করোনা সংক্রমন হয়েছে।

উল্লেখ্য হালকা জ্বর ও কাশি নিয়েই ২২তারিখ ট্রেনে করে প্রথমে পাঁশকুড়া ও তারপর ওমনি ভাড়া করে দাসপুর থানার গৌরাতে নামে। সেখান থেকে বাইকে বাড়ি যায়। বাড়িতে ফেরার পরেও জ্বর না কমায় এক হাতুড়েকে দেখায়। তারপরও জ্বর বাড়তে থাকায় স্থানীয় সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যায় বাবার সাথেই। চিকিৎসকরা যখন জানতে পারেন যে যুবক মহারাষ্ট্র ফেরৎ তখনই সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে যেতে বলেন। ইতিমধ্যেই লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার বাইকে করেই বাবার সাথে মেদিনীপুরে যায়। ২৮তারিখ ওই যুবককে ভর্তি করে নেওয়া হয় আইসোলেশন বিভাগে। সোমবার রাতে যুবকের করোনা পজিটিভ আসার পরই মঙ্গলবার বেলেঘাটা আইডি তে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সেখানেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যুবকের বাবাকেও।

অন্যদিকে সবজি চাষের সঙ্গে যুক্ত ওই যুবকের বাবা স্থানীয় সোনামুইয়ের হাটে একাধিকবার সবজি বিক্রি করেছেন। প্রশাসন তাই কিছুটা দুশ্চিন্তায়। ইতিমধ্যেই প্রশাসন ঘোষনা করেছে ওই যুবকের সংস্পর্শে এসেছেন এমন কারও মনে হলে তিনি যেন নিজে থেকে প্রশাসনের কাছে আসেন। তাহলে স্বাস্থ্য দপ্তর তার উপযুক্ত প্রতিবিধান করবেনন। এবারেও জেলার মূখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশ চন্দ্র বেরা জানিয়েছেন, ” ওই যুবককের বাবার সান্নিধ্যে এসেছেন এমন সবাইকেই অনুরোধ জানাবো পুলিশ প্রশাসন বা স্বাস্থ্যদপ্তর, নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারন নেই। আমরা সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়ে আছি করোনা মোকাবিলায়।”

এদিকে যুবকের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর পাওয়ার পরই যেমন নিজামপুর গ্রামের বড় অংশটাকেই কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে তেমনই সোনামুই হাট যেখানে ওই যুবকের বাবা সবজি বিক্রি করেছিলেন একাধিকবার সেই হাট পুরো স্যানিটাইজ করার উদ্যোগ নিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। হাইপোক্লোরাইড সহকারে দমকলের ইঞ্জিনের সাহায্যে পুরো হাট ধুইয়ে দেওয়া বা স্যানেটাইজ করা হবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular