নিজস্ব সংবাদদাতা: একে বৃষ্টি তায় অন্ধকার। রেশনের মাল পাচার করার জন্য এরচেয়ে আর ভালো সুযোগ কী হতে পারে! সুতরাং সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ছাড়েননি রেশন দোকানের মালিক। সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে জমানো রেশন সামগ্রী পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন অন্য জেলার এক ব্যবসায়ীর কাছে কিন্তু এবার আর সেই উদ্দেশ্য সফল হলনা। পথে জনতার হাতে ধরা পড়ে গেল মালভর্তি সেই গাড়ি।
শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর দাসপুর থানার গোপীগঞ্জ বাজারে। ওখানকারই একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে রেশন সামগ্রী গাড়িটিকে আটক করে রেখে পুলিশকে খবর দিয়েছে জনতা।
স্থানীয় জনতার অভিযোগ এই রেশন সামগ্রী পাচার হচ্ছিল দাসপুরের ক্ষেপুত গ্রামপঞ্চায়েতের অধীন উত্তরবাড় গ্রামের রেশন দোকানের মালিক হাফিজুর রহমান ওরফে মিন্টু।
জনতার সামনে গাড়ির চালক স্বীকার করেছেন যে হাফিজুরের গো-ডাউন থেকেই এই বস্তা বস্তা আটা এবং গম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল পূর্বমেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট লাগোয়া মাছিনান নামক একটি স্থানের এক ব্যবসায়ীর কাছে। জানা গেছে ওই ব্যবসায়ী এই এলাকারই এরকম আট দশজন রেশন দোকানের মালিকের মাল সংগ্ৰহ করে তা বড় গাড়িতে করে পাঠিয়ে দিতেন অন্যত্র।
এদিকে হাতে নাতে এই পাচার ধরতে পেরেই উত্তেজিত জনতা চড়াও হয় রেশন দোকানের মালিক হাফিজুরের বাড়িতে। যদিও খবর পেয়ে আগেই বাড়ি থেকে চম্পট দেয় হাফিজুর। উত্তেজিত জনতা জানিয়েছেন সরকার মাল কম দিয়েছে এই অজুহাতে মানুষকে তার প্রাপ্য সামগ্রী থেকে বঞ্চিত করত হাফিজুর। এছাড়াও মৃত মানুষের কার্ড, ভুয়ো কার্ড দেখিয়ে সরকারের কাছ থেকে বেশি বেশি করে রেশন সামগ্রী ওঠাতো সে যার পুরোটাই পাচার করা হত অবৈধ ভাবে।
জনতার এই দাবি সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে গাড়ির চালকের কাছ থেকেও। ওই গাড়ির চালক বলেছে গত মাসখানেকের মধ্যে চার বার সে হাফিজুরের মাল পৌঁছে দিয়েছে মাছিনানের ব্যবসায়ীর গো-ডাউনে। জনতার দাবি অবিলম্বে রেশনের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে এবং গ্রেপ্তার করতে হবে হাফিজুরকে। খবর পেয়ে দাসপুর পুলিশ ওই রেশন সামগ্রী সহ গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে। খবর পাঠানো হয়েছে ঘাটাল মহকুমা খাদ্য নিয়ামকের কাছেও।