নিজস্ব সংবাদদাতা: গত কয়েকদিনের তুলনায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সংক্রমন বেড়ে ৩৮০হল। উল্লেখ্য পশ্চিম মেদিনীপুরে সব চেয়ে বড় ধাক্কা ছিল ২৭শে এপ্রিল, ৫৭৮ জন। এরপর ক্রমান্বয়ে ৪৪৪, ৩৪৯, ৩৬৬ দিয়ে মাস শেষ হয়। ১লা মে ফের একটু বেড়ে তা ৩৮০ হয়ে গেল। যদিও এই সংখ্যাটা আরও অনেকটা বেড়ে যেত যদি সমস্ত জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্ৰহ করা যেত। দেখা যাচ্ছে ১লা মে তারিখেও আরটি/পিসিআর কিটসের অভাবে পর্যাপ্ত নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়নি খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে।
এদিন খড়গপুর শহরে বড় সংক্রমনের খোঁজ মিলেছে আইআইটি খড়গপুরের সংগ্ৰহ করা নমুনা থেকে । মোট ১১ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে যার মধ্যে একই পরিবারের ২জন সহ ক্যাম্পাসের ৫জন রয়েছেন। রেলপরিবার থেকে ১৬ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে যাঁরা রেলের আবাসন ও খড়গপুর শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। বিদ্যাসাগরপুর সহ ইন্দা এলাকায় একই পরিবারের ২জন সহ ৭জন আক্রান্ত। ৪জন করে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে বুলবুলচটি ও ভবানীপুর থেকে। ডিভিসি মায়াপুর এলাকায় একই পরিবারের ৩জন আক্রান্ত। মালঞ্চ ও সুভাষপল্লী(পদ্মপুকর সহ)তে ২জন করে আক্রান্ত।
বাকি আক্রান্তরা হলেন,সাউথ সাইড, নিমপুরা, খরিদা, ভগবানপুর, প্রেমবাজার, ঝাপেটাপুর, ঝুলি, গোলবাজার, রবীন্দ্রপল্লী, সি.আর.নগর ও তালবাগিচা, ধ্যানসিং ময়দান এলাকার। গ্রামীন খড়গপুরের চাঙ্গুয়ালে ৩ জন, বলরামপুরে ২জন এবং হরিয়াতাড়া, পূর্ব গোপালি, পাঁচরুলিয়া, শ্রীকৃষ্ণ কলোনী, সতকুই, তেকুলিয়া, হরিসা শ্যামরুইপুর, শ্যামরাইপুর, টাটা মেটালিক, চকসাতরঙি, রাধানগর, গোকুলপুরে একজন করে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
এদিকে মেদিনীপুর শহরে এদিন বড় সংখ্যায় পজিটিভ ধরা পড়েছে। সংখ্যাটা প্রায় ১১০জনের কাছাকাছি যদিও জেলাস্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত তালিকা থেকে শহরের করোনা মানচিত্র বুঝতে একটু সমস্যাই হওয়ার কথা। কারন অন্ততঃ ৬৫ জনের বসবাস মেদিনীপুর শহরে বলে জানা গেলেও শহরের ঠিক কোথায় তাঁরা বসবাস করেন তার সুনির্দিষ্ট ঠিকানা উল্লেখ নেই। বাদ বাকিদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে শহরে সর্বাধিক আক্রান্ত আবাস এলাকায়, ৯ জন। সিপাহিবাজার ও মির্জাবাজারে ৬জন করে আক্রান্ত। অশোক নগরে আক্রান্ত ৪ জন। দেওয়ান বাবার চক, কামারপাড়া, অরবিন্দনগরে ৩ জন করে আক্রান্ত। রাজাবাজার, জজকোর্ট, ক্ষুদিরামনগর, এবং মিত্রকম্পাউন্ড এলাকা থেকে ২জন করে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। কোতবাজার, নতুনবাজার, ধর্মা, বক্সীবাজার,বড়বাজার, পুলিশ লাইন, রাঙামাটি, কুইকোটা, নবীনাবাগ, নজরগঞ্জ, পানপাড়া, তাঁতিগেড়িয়া, হবিবপুরে ১জন করে আক্রান্ত। এছাড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। আবারও বলার যে এই মানচিত্র বদলে যাবে সেই ৬৫ জন আক্রান্তের ঠিকানা জানতে পারলে যাদের স্পষ্ট ঠিকানা উল্লেখিত হয়নি। মেদিনীপুর গ্রামীনের গুরগুড়িপালে ২ জন ছাড়াও ১জন করে সিরিসডাঙ্গা, বাড়ুয়া, পিন্ড্রাসোলে আক্রান্ত মিলেছে।
শালবনী ট্যাঁকশাল থেকে ৬ জন, জিন্দাল থেকে ১জন, শালবনী সদর ৫ জন, গোবরু গোদাপিয়াসাল ২জন আক্রান্ত। গড়বেতা থানার গড়বেতায় ৫জন , করমাশোল কেয়াবনি ৫জন , আমলাগোড়া ৪ জন,
চন্দ্রকোনা রোডে ফাঁড়ি সহ জন, দ্বারিগেড়িয়া ৩জন , সরবেড়িয়া ২জন , বড়ডাবচা ২জন, রাধানগর আমলাগোড়া ২জন আক্রান্ত। এছাড়াও হট্টতলা, খাঁদিগেড়িয়া, বগড়িডিহি, মালবাঁধি, দুর্লভগঞ্জ, সুন্দরগেড়িয়া, চড়কাডাঙা, গরঙ্গা, লাপুরিয়া, গোলাহাট আক্রান্ত পাওয়া গেছে। গোয়ালতোড়ের গোয়ালতোড়, গাংদুয়ারি, মনিদ্বিপা পুইচোরা, হুমগড়, কাদাশোল, মইলাসাই আক্রান্ত মিলেছে। কেশপুরের শালিডিহা শ্যমচাঁদপুর আনন্দপুর, আনন্দপুর, শশাগেড়িয়াতে নতুন সংক্রমনের খোঁজ মিলেছে।
ডেবরা শ্যামনগর মলিহাটি ৩জন এবং বালিচক, আষাঢ়ি চকলহনা, পশ্চিম বেগুনি চকশ্যামপুর, ডেবরা, বাকরচা, রঘুনাথপুর, ইয়ারচক বালিচক, বইঁচা, শ্যমচক, ভোগপুর, পসঙ, বরাগড় থেকে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। পিংলা থানার বেলুন, পূর্নগ্রাম, পিংলা, মুন্ডুমারি, সবংয়ের সবং সদর, রুইনানে নতুন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। বেলদার বেলদা, পাটলি পাটনা, দেউলি, বড়মাতকাতপুর, নারায়নগড় থানার এক কর্মী সহ নারায়নগড়ে আক্রান্ত ২জন। দাঁতনের খড়িঝাপরি আইঁকোলা, সস্তনগর, গড়মোহনপুরে আক্রান্তের খোঁজ মিলছে।
ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা থানা এলাকার ক্ষীরপাই থেকে ৫ জন, রামজীবনপুর ও তাতারপুর থেকে ২জন ছাড়াও বল্লভপুর, আটঘোরা, প্রসাদপুর করাসিয়া, পৃথিবীপুর, , মহেশপুর, শ্রীনগর, মাধবপুর থেকে আক্রান্ত পাওয়া গেছে।
দাসপুর থানার চাইপাট থেকে ৩জন এবং সোনাখালি ও রামকৃষ্ণপুর থেকে ২জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। এছাড়া আক্রান্ত মিলেছে নবীনমনুয়া, কইজুড়ি, ডোঙ্গাভাঙা, সিতাপুর, চাইপাট, কোটালপুর, আরিথ,বড় শিমুলিয়া, নিমতলা, তাজপুর, জগন্নাথপুর, চকরামনগর, ভূতা, কামারচকে। ঘাটাল থানার রাধানগরে ৩ আক্রান্ত ছাড়াও বাকি আক্রান্তরা হলেন কুসমান, নিশ্চিন্দিপুর, গড়প্রতাপনগর, শিমুলিয়া, খড়ার, কোন্নগর, মুলগ্রাম, রথীপুর এলাকার।