নিজস্ব সংবাদদাতা: জেলার সমস্ত পুলিশ আবাসনে নিষিদ্ধ করা হল বাজি ফাটানো। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার এক বিশেষ নির্দেশে জানিয়ে দিয়েছেন জেলার খড়গপুর মেদিনীপুর ও ঘাটাল সহ যেখানে যেখানে ছোটো বড় পুলিশ আবাসন রয়েছে তার চৌহদ্দির মধ্যে বাজি পোড়ানো বা ফাটানো যাবেনা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সোজা কথায় কোনও ভাবেই বাজি ব্যবহার করাই যাবেনা পুলিশ আবাসনগুলিতে। উল্লেখ্য বিভিন্ন শহরগুলিতে পুলিশ আবাসনগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে পুলিশ নিজে শব্দবাজির বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিলেও তাদের আবাসনগুলিতে এত পরিমান বাজি ফাটানো হয় যে আশেপাশের মানুষদের কয়েকদিন টিকে থাকাই দায় হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এমনকি অভিযোগ আসে পুলিশ আবাসনের মধ্যে থেকেই যে নিয়মনীতি ব্যতিরেকেই কালীপুজো ও তার আগে পরে কয়েকদিন ধরেই বাজি ফাটিয়ে চলেন কিছু পুলিশ কর্মী। মধ্যরাত অবধি চলে সেই বাজি ফাটানো। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত করা বাজি পুলিশ কর্মীরা বাজেয়াপ্তর তালিকায় না দেখিয়ে নিজেরাই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ব্যবহার করে থাকেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পাশাপাশি পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে আরও একটি জোরালো অভিযোগ ছিল যে কালীপুজোর সময় পুলিশ কর্মীরা পুজোর পাশাপাশি যে বিগ বাজেটের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে থাকে সেখানেও বেশ গন্ডগোলে ব্যপার থাকে। প্রথমত এই ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রচুর চাঁদা আদায় করা হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দ্বিতীয়ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলি সংস্কৃতির নামে চটুল আসরে পরিণত হয় এবং তৃতীয়ত বহুক্ষেত্রেই অশালীনতার মাত্রা ছাড়ায় কিছু মানুষের বেলাগাম মদ্যপানে। এরকমই এক অনুষ্ঠানে কলকাতার এক মহিলা শিল্পী গতবছর দাঁতনের পুলিশ কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার জানিয়ে দিয়েছেন কেউ চাইলে পুজো করতে পারেন কিন্তু কোনও ভাবেই এই পুজোকে কেন্দ্র করে পুলিশ কর্মীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেননা। শনিবার বিভিন্ন আবাসন এলাকায় বাজি ব্যবহার না করার নির্দেশ জানিয়ে মাইক প্রচার করা হয়েছে।