Homeএখন খবরক্যাপ্টেন সুশান্তই! তপন, প্রশান্তের হাত ধরেই জঙ্গল ফেরাতে মরিয়া সিপিএম

ক্যাপ্টেন সুশান্তই! তপন, প্রশান্তের হাত ধরেই জঙ্গল ফেরাতে মরিয়া সিপিএম

নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রচার তিনি শুরু করেছিলেন তিনমাস আগেই জেলায় ফিরেই। বাকি ছিল দেওয়াল লিখন যা শেষ হয়েছে শালবনীর প্রার্থী তালিকা ঘোষনার ১০মিনিটের মধ্যেই। আর এখানেই সবার থেকে এগিয়ে তিনি। তৃনমূল বিজেপি তো বটেই এগিয়ে নিজের দলের থেকেও। তিনি সুশান্ত ঘোষ যাঁর উত্তরে গড়াবেতা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন আরেক বলিষ্ঠ নাম তপন ঘোষ। গড়াবেতা আর শালবনীতে এই সাঁড়াশি চাপ নিতে হবে শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেসকে।

এই দুই বিধানসভার কেন্দ্রে শাসকের তরফে প্রার্থী শালবনীর দু’বারের বিধায়ক শ্রীকান্ত মহাত এবং গড়বেতায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা। এ লড়াইয়ে সুশান্ত ঘোষের নিজস্ব ইমেজের পাশাপাশি তাঁর প্লাশ পয়েন্ট শ্রীকান্তের দলের অভ্যন্তরেই ব্যাপক ক্ষোভ আর তাঁর বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ যা কিনা মাত্র কয়েকদিন আগেই পোষ্টারে পোষ্টারে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে তপন ঘোষের ক্যারিশমা প্রতিফলিত হয়েছে লকডাউন পিরিয়ড।

হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের থাকার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি গনকমিউনে রান্না করা খাবার সারা গড়াবেতা, গোয়ালতোড়ে বন্টন করা হয়েছে দিনের পর দিন। মিডিয়ায় সুশান্ত আর তপন ঘোষকে যতই ‘হার্মাদ’ বলে প্রচার করা হোকনা কেন এলাকায় তাঁরা মসীহা! গ্রামে গ্রামে ঢুকলে ঘরের পর ঘর জুড়ে বেজে ওঠে শাঁখ, ফুলের পাপড়িতে ঢেকে যায় মাথা, জামা, শরীর। মহিলারা প্রণাম করেন। এই অসামান্য জনপ্রিয়তা বনাম আ্যন্টি এস্টাব্লিশমেন্টের লড়াই এবার গড়াবেতা আর শালবনীতে।

সুশান্ত ঘোষ আর তপন ঘোষের মতই আরেক লড়াকু নেতা এবার বামজোটের হয়ে মাঠে নামছে প্রার্থী হয়ে গোপীবল্লভপুরে। তিনি প্রশান্ত দাস। ঝাড়গ্রাম সহ সংলগ্ন এলাকার একমাত্র সিপিএম নেতা যিনি মাওবাদীদের ত্রাস হয়েছিলেন যাঁকে কখনই কাবু করতে পারেনি মাওবাদীরা। অবিরাম রক্তঝরা সময়ে যখন জনসাধারণের কমিটিকে সামনে রেখে মাওবাদীরা সারা জঙ্গলমহল জুড়ে শত শত বাম নেতা কর্মীকে খুন করে চলেছে তখন বামকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে অকুতোভয় লড়াই চালিয়েছেন এই রবিনহুড।

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রশান্ত দাসকেও গ্রেপ্তার করা হয় সুশান্ত ঘোষ বা তপন ঘোষের মতই। এবার প্রার্থী তিনিও। এই তিন নেতার হাত ধরেই এবার জঙ্গলমহল পুনুরুদ্ধারে নামছে সিপিএম। সিপিএমের এক নেতা জানিয়েছেন, ‘ লড়াই কঠিন কিন্তু গত দুবারের চেয়ে অনেক বেশি সম্ভবনাময়। প্রথমবার তৃনমূলের হয়ে খেলেছিল মাওবাদীরা। দ্বিতীয়বার সরকারের হয়ে খেলেছে পুলিশ। এবার না আছে মাওবাদী, না আছে পুলিশ। এবার খেলবে জনতা।’

RELATED ARTICLES

Most Popular