ওয়েব ডেস্ক : করোনা সংক্রমনে ৭ মাস অতিক্রান্ত, এখনও পর্যন্ত এই মারণ ভাইরাস দমনের কোনও প্রতিষেধক বাজারে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাস সংক্রমণের প্রতিষেধক হিসেবে রেমডেসিভার বিপণনের জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার অনুমোদন পেল দেশের অন্যতম দুই ওষুধ উৎপাদন সংস্থা সিপলা ও হেটেরো। ইতিমধ্যেই করোনা চিকিৎসার জন্য ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা সিপলার তরফে বাজারে এই নতুন শক্তিশালী ওষুধ লঞ্চকরা হয়েছে। সংস্থার তরফে এর নাম দেওয়া হয়েছে সিপ্রেমি (Cipremi)। করোনার চিকিৎসায় গোটা বিশ্বে আশা জাগিয়েছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়েন্ট ‘গিলেড সায়েন্স’-এর তৈরি রেমডিসিভির। ভারতের সিপলা হেটেরো ল্যাব, ও জুবিল্যান্ট লাইফ এই তিন সংস্থা-কে রেমডেসিভির তৈরির অনুমতি দিয়েছে ‘গিলেড সায়েন্স’।
তবে এই তিন সংস্থার মধ্যে শুধুমাত্র সিপলা ও হেটেরো এই দুই সংস্থাই কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল বোর্ডের কাছে সরাসরি রেমডেসিভির উৎপাদনের অনুমতি চেয়েছিল। বর্তমানে দেশের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের তরফে অনুমতিও দেওয়া হয় এই দুই সংস্থাকে। এরপর এক মাসের মধ্যেই করোনার চিকিৎসায় শক্তিশালী ওষুধ সিপ্রেমি (Cipremi) বাজারে ছাড়ল সিপলা।
সংস্থার দাবি, অক্সিজেন বা ভেন্টিলেটর প্রয়োজন এমন শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রথমদিন ১০০ মিলিগ্রাম করে দিনে ২ বার এবং পরবর্তী ৫ দিন দিনে ১ বার এই ইঞ্জেকশন দিলেই রোগী সম্পূর্ণ হয়ে উঠবেন। তবে এই মূহুর্তে সংস্থার তরফে এই ওষুধের দাম সঠিকভাবে না জানানো হলেও জানা গিয়েছে, ১০০ মিলিগ্রাম ওষুধের দাম হতে পারে প্রায় ৫-৬ হাজার টাকা।
অন্যদিকে, আরেক সংস্থা হেটরোর তরফে ইতিমধ্যেই এই ওষুধ তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। শনিবার সংস্থার তরফে ঘোষণা করা হয়েছে ভারতে এই ওষুধ বিক্রি হবে কোভিফর (COVIFOR) নামে। এদিন হেটেরো গ্রুপের চেয়ারম্যান বি পার্থসারথি রেড্ডি জানিয়েছেন, “দেশজুড়ে করোনা প্রকোপ বাড়ার প্রেক্ষিতে কোভিফর বিক্রির অনুমোদন চিকিৎসা পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটাতে পারে। সারা দেশের মানুষের কাছে যাতে সহজেই এই ওষুধ পৌঁছে দেওয়া যায়, তা আমরা সুনিশ্চিত করব। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই কৌশলে পরিবর্তন আনতে আমরা সরকারের পাশে থেকে কাজ করব।” আগামী নভেম্বরে করোনা সন্ক্রমনের হার মারাত্মক ভাবে বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে কোনও কোনও মহল থেকে। তার আগে এই ওষুধ বাজারে চলে এলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটা অনেক সহজ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।