নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার পুনে থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছেছিল ভ্যাকসিনের ২লক্ষ ২০ হাজার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ডোজ। খবরটা পাওয়া মাত্রই খুশির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল ১৮উর্দ্ধ থেকে ৪৫ বছর সবার মধ্যেই। কারন রাজ্য জানিয়েছিল সোমবার থেকেই শুরু হয়ে যাবে ওই বয়সীদের টিকাকরন কিন্তু না, শেষ অবধি কথা রাখতে পারলনা রাজ্য। রবিবার বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে ভ্যাকসিন এসে পৌঁছানো থেকে বাগবাজার সেন্ট্রাল স্টোরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই জানা গেল সোমবার থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে না ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকাকরণ।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, টিকার অপ্রতুলতার কারণে পিছিয়ে গেল রাজ্য সরকার।কেন্দ্রের নতুন টিকাকরণ নীতি অনুসারে সোমবার থেকে দেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সী সমস্ত নাগরিকের টিকা পাওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় নির্দিষ্ট দিনে সেই কর্মসূচি শুরু করতে পারবে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রবিবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এমনই জানানো হয়েছে।
অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রাজ্যের হাতে এখন ১৪ লক্ষ ডোজ করোনার টিকা রয়েছে। এই টিকা দিয়ে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকাকরণ সম্ভব নয়। যোগান বাড়লে তবেই এব্যাপারে পদক্ষেপ করবে সরকার।যদিও রাজ্যের এই পিছিয়ে আসার যুক্তিটি মানতে চাইছেননা অনেকেই বিশেষ করে বিরোধীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে গ্যাঁটের কড়ি ফেললেই ১৮ বছরের বেশি যে কেউ পাচ্ছেন করোনার টিকা। তাদের মুনাফা বাড়াতেই রাজ্য সরকার ১৮ উর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু করছে না। বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রগুলির সঙ্গে রাজ্য সরকারের বোঝাপড়া রয়েছে বলে দাবি করছেন তাঁরা।
যদিও এই দাবির কোনও সারবত্তা নেই বলে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের অভিমত। তাঁরা বলেছেন কেন্দ্র থেকে পর্যাপ্ত ডোজ এলেই শুরু করে দেওয়া হবে ১৮ঊর্ধ্বে ৪৫বছর অবধি টিকাকরণ। যদিও সেটা কবে তা বলা হয়নি।এদিকে, কোভিডে সংক্রমণ এবং মৃত্যু আরও কমল রাজ্যে। শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী,রাজ্যে একদিনে মৃত্যু ৫৫ জন এবং সংক্রমণ ২ হাজার ৪৮৬ জন। দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণের গতি এখন অনেকটাই নিম্নমুখী। ৮১ দিন পর ৬০ হাজারের নিচে নামল করোনার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা।