ওয়েব ডেস্ক : রাজ্য জুড়ে করোনার থাবা ক্রমশ জোড়ালো হচ্ছে। এতদিন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নেতা-মন্ত্রীদের মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার খবর মিলেছে। এবার সরাসরি কলকাতা পুরসভার অন্দরে করোনা থাবা। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ আপাতত নিজের বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন যাবৎ শরীরে করোনার মৃদু উপসর্গ অনুভব করায় সন্দেহের বশেই তিনি করোনা পরীক্ষা করান। বুধবারই তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে৷ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর থেকেই উত্তর কলকাতার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অতীন ঘোষ আপাতত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে তাঁর শরীরে আপাতত কোনো উপসর্গ নেই বলেই জানা গিয়েছে। দিন কয়েক আগেই অতিনবাবু কলকাতার প্রধান পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের সংস্পর্শে এসেছিলেন। সেকারণে এদিন অতিন ঘোষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর পরিবারের তরফে ফিরহাদ হাকিম সহ গত ১৫ দিন যারা অতীনবাবুর সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের প্রত্যেককে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরভবনের গোটা বিল্ডিং স্যানিটাইজ করা হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত শাসকদলের অন্দরে বেশ কয়েকজন নেতা-মন্ত্রী মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের ২ মন্ত্রী সুজিত বসু এবং স্বপন দেবনাথ। বর্তমানে সুজিত বসু ও স্বপন দেবনাথ দুজনেই সম্পূর্ণ সু্স্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু এর পাশাপাশি শাসকদলের বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতা-বিধায়ক-পুর প্রশাসক করোনাযুদ্ধে পরাজিত হয়েছেন। এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে পানিহাটি পুরসভার প্রশাসক স্বপন ঘোষ, ফলতার বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ ও এগরার বিধায়ক সমরেশ দাসের।