নিজস্ব সংবাদদাতা: আপাত ভারতে মন্থর গতিতে করোনা চক্র। ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যানমন্ত্রকের হিসাবে রবিবার সন্ধ্যা অবধি মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৬, ৯১৭। যা গত দুদিনে ১৫%বৃদ্ধি। ৪৮ঘন্টা যখন আক্রান্তের সংখ্যা ২০,৪৭১ ছিল তখনও সেটা তার আগের ৪৮ঘন্টার বৃদ্ধির অনুপাতে ১৫% ই ছিল। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ১০দিনে দ্বিগুন হচ্ছে যা কিনা এপ্রিলের শুরুতে প্রতি ৪দিনে দ্বিগুন হচ্ছিল। রবিবার সন্ধ্যা অবধি মৃতের সংখ্যা ৮২৬। এই সংখ্যাটাও মোটামুটি ১০দিনে দ্বিগুন। এই হিসাবে চললেও ভারতের মত দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেশে আগামী ৮ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫০ হাজারে। এমনই অভিমত পরিসংখ্যানবিদদের।
ভারতের মাত্র ৫টি রাজ্য মহারাষ্ট্র(৬২২৯),গুজরাট (২৬৫৬), মধ্যপ্রদেশ (১৭৮৭), দিল্লি (১৭০২), ও রাজস্থান (১৫৫৭) দেশের মোট আক্রান্তের ৬৯% নিয়ে রয়েছে অন্যদিকে আক্রান্তের নিরিখে তারপরের আরও ৫টি রাজ্য ধরলে মোট ১০রাজ্য দেশের মোট আক্রান্তের ৯১% দখল করেছে।
গত সাতদিনে পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট আক্রান্তের সূচকে দ্রুত উর্ধমুখী। নতুন করে আক্রান্তের ৬৭%ই এই রাজ্যগুলিতে। মৃত্যুর নিরিখে দেশের মোট সংখ্যার ৩৭%ই পাঞ্জাব, গুজরাট ও অন্ধ্রপ্রদেশের।
গত সাতদিনের হিসাবে আক্রান্তের অনুপাতে পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষে ১০৭%,তারপরই মহারাষ্ট্র ১০৩% ও গুজরাট ৮৩%। গত সাতদিনে মৃত্যুর নিরিখে ২০০% নিয়ে শীর্ষে রাজস্থান, তারপরেই গুজরাট ১২৯%, অন্ধ্রপ্রদেশ ১০৭%। মৃত্যুর হারে গত সাতদিনে পশ্চিমবঙ্গে বেড়েছে ৫০% যা দেশের মধ্যে সপ্তম। অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে।
করোনার ভয়াবহ থাবা মহানগর গুলিতেই । গ্রাম এবং মফঃস্বল অনেকটাই পেছনে। নিশ্চিত ভাবেই নগরগুলিতে বসবাসের ঘনত্বই বিপদ বাড়িয়েছে বেশি। দেশের ৫টি জেলা মুম্বাই, আহমেদাবাদ, নিউ দিল্লি, ইন্দোর ও থানে দেশের মোট নতুন আক্রান্তের ৪৯% নিয়ে রয়েছে। গত দুদিনে পুনে, কলকাতা ও কৃষ্ণা মহানগরে আক্রান্তের হার মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে আক্রান্তের তীব্রতা রয়েছে এমন বহু জায়গাতেই এখনও সেই হারে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়নি। যা হচ্ছে সবই অনুমান ভিত্তিক, আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা আছে ধরে নিয়েই। এর বাইরেও বহু ক্ষেত্র বাদ রয়ে যাচ্ছে। মনে রাখতে হবে সবেমাত্র দেশে করানো পরীক্ষার গতি বৃদ্ধি পেয়েছে আর সেই কারনে এমন নতুন নতুন জায়গায় আক্রান্তর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে দেখা যেতে পারে যেখানে আক্রান্তর হার এতদিন নগন্য বলেই মনে হয়েছে।