নিজস্ব সংবাদদাতা: ৪৮ আবারও এক করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আর এবারও সেই হলদিয়াতেই। জানা গেছে সোমবার খবর পাওয়া ৭৩ বছরের এই বৃদ্ধ ভবানীপুর থানার ব্রজলালচকের বাসিন্দা। পেশায় মুদি দোকানি। জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি উপসর্গ নিয়ে ২ মে থেকে তিনি ভর্তি ছিলেন হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশনে। পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘ করোনা পরীক্ষার জন্য ওই বৃদ্ধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল রবিবার। সোমবার সকালে রিপোর্ট আসে পজিটিভ। তারপর তাঁকে আনা হয়েছে পাঁশকুড়ার বড় মা হাসপাতালে।’
শনিবারই কোভিড পজিটিভের সন্ধান মিলেছিল যিনি পেশায় ট্রাক চালক। ওড়িশার বাসিন্দা ওই চালক পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে ২৪ এপ্রিল হলদিয়া এসেছিলেন। অসুস্থ হয়ে নিজেই গেছিলেন হাসপাতালে। সন্দেহজনক উপসর্গ থাকায় ২৬ এপ্রিল থেকে ভর্তি ছিলেন হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন। করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়েছিল। শনিবার রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর তাঁকে পাঁশকুড়ার বড় মা করোনা হাসপাতালে ভর্তি।
সোমবারের এই ঘটনা ধরলে জেলায় মোট আক্রান্ত ২৯ জন যার মধ্যে হলদিয়ারই ১১জন। ১ বৃদ্ধের মৃত্যু হলেও সুস্থ হয়ে গেছেন ২৪ জনই এবং চিকিৎসাধীন ৪ জন। নিশ্চিতভাবেই পরিসংখ্যান যথেষ্ট আশা ব্যঞ্জক কিন্ত দুশ্চিন্তা বাড়ল অন্য জায়গায়।
আক্রান্তের সিংহভাগই কোভিড নেগেটিভ হয়ে যখন আশার আলো দেখাচ্ছিল তখন ফের এক এক করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলায় উদ্বেগ বাড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের। এগরা হলদিয়া ও তমলুক এই তিন জায়গায় একের পর পজিটিভ আসায় কেন্দ্রের প্রথম তালিকায় থাকা চার রেড জোনের সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরও জুড়ে গেছিল। দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রের পাঠানো ১০ জোনেও রয়ে গেছে পূর্ব মেদিনীপুর। যদিও প্রায় ৯৯% সুস্থ হয়ে উঠেছেন।এই অবস্থায় ফের আক্রান্তের খবর দুশ্চিন্তায় ফেলে দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে। যতবার করে পজিটিভ মিলবে ততবারই ১৪ দিন করে পিছিয়ে যাবে অরেঞ্জ জোনে ফেরার আশা আর সঙ্গে পরবর্তী ১৪ দিন পিছিয়ে যাবে গ্রীন জোনে ফেরার আশাও।