নিজস্ব সংবাদদাতা: সময়মত বেতন না হওয়ায় কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন পশ্চিম মেদিনীপুরের গ্লোকাল করোনা হাসপাতালের ২৫জন কর্মী। বিক্ষোভভের জেরে বেশ কিছু সময় পরিষেবা ব্যাহত হয় সরকার অধিগৃহীত ওই হাসপাতালের। কর্মীদের অভিযোগ মাস ফুরোতে গেলেও বেতন জোটেনি তাঁদের। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের সামনে কর্মবিরতি ঘটিয়ে অবস্থান শুরু করেন তাঁরা। ঘটনার খবর যেতেই টনক নড়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনিক কর্তাদের।
উল্লেখ্য করোনা ক্রান্তি কালে সারা রাজ্যে সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কয়েকটি বেসরকারি নার্সিং হোম ও হাসপাতাল অধিগ্রহণ করে। সেই মত অধিগ্রহণ করা হয় গ্লোকাল হাসপাতালটি। করোনা চিকিৎসার জন্য লেভেল টু হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত করা হয় মেদিনীপুর শহরের প্রান্তে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ঘেঁষে থাকা এই সদ্য গড়ে ওঠা বেসরকারি হাসপাতালটিকে। ওই বেসরকারি হাসপাতালটির নিজস্ব ২৫ জন কর্মী রয়েছেন। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ওখানে আরও ১৫ জন চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ করেন।
নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে সবারই বেতন সরকার দেবেন। কিন্তু মাসের প্রথমের দিকে সরকার নিযুক্ত কর্মীদের মাইনে হয়ে গেলেও বেসরকারি কর্মীরা বেতন পাননি। মাসের ২১ তারিখেও বেতন না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাই কাজ বন্ধ রেখে হাসপাতালের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ওই হাসপাতালের সরকার অধিগৃহীত বেসরকারি কর্মীরা। তাদের দাবি মাসের ২১ তারিখ হয়ে গেলেও বেতন নিয়ে হোলদোল নেই সরকার কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ।তাই কাজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। যদিও এই সময়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন সরকারি চিকিৎসক ও নার্সরা।
এদিকে বেসরকারি নার্সিং হোমের লিজের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা জানন, বেসরকারি কর্মীদের বেতন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রদান করবেন ঠিকই কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী সরকার অধিগ্রহণ করে সরকার ওই কর্মীদের বেতন দেওয়ার তাদের হাতে দিলেই তবে তাঁরা বেতন দিতে পারবেন। কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তর ও জেলা প্রশাসন টাকা না দেওয়ায় তাঁরা বেতন দিতে পারছেননা। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি জেলা প্রশাসন বা স্বাস্থ্য দপ্তরের কোনও আধিকারিক। তবে জানা গেছে ওই বেসরকারি হাসপাতালের মূল কোম্পানির থেকে কয়েকজন লিজ নিয়ে হাসপাতালটি চালাচ্ছিলেন কিন্ত এই লিজ প্রক্রিয়া অসমাপ্ত থাকায় মালিকানা কোম্পানির নামেই রয়ে গেছে আর সেকারনেই ট্রেজারির টাকা কোম্পানির নামেই সরকারি ভাবে হস্তান্তর হয়ে গেছে। পরে জেলা প্রশাসনের তরফে সেই টাকা কর্মীদের দেওয়ার আশ্বাস দিলে অবস্থা স্বাভাবিক হয়।