Homeএখন খবরচার গন্ডা এক কমে রেকর্ড সংক্রমন পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব আর পশ্চিম মিলিয়ে...

চার গন্ডা এক কমে রেকর্ড সংক্রমন পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব আর পশ্চিম মিলিয়ে আক্রান্ত ২০, রাজ্যে ৩৬৮

নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা আক্রান্ত খোঁজের নিরীখে বৃহস্পতিবার সর্বাধিক আক্রান্তের খোঁজ মিলল। বুধবার রাতের পাওয়া রিপোর্ট মোতাবেক পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চার গন্ডা পুরন হতে মাত্র ১বাকি থেকে গেছে অর্থাৎ ১৫জন। এদিন সর্বাধিক আক্রান্তের সংখ্যা ঘাটাল মহকুমাতেই এবং সেই দাসপুর থানা এলাকাতেই বেশি যেখান থেকে গত ২দিনে সর্বাধিক আক্রান্তের খবর আসছে। তবে জেলার খাতে পরীক্ষা হওয়ায় এরমধ্যে হুগলির আরামবাগের ২জন রয়েছেন তবুও জেলার ১৩জনের একসঙ্গে খোঁজ মেলাটাও একইদিনে এযাবৎকালের রেকর্ড। জানা গেছে এঁদেরও অধিকাংশই পরিযায়ী শ্রমিক। গত ১৮ তারিখ এঁদের নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়েছিল। ঘাটাল ও দাসপুর থানা ছাড়াও আক্রান্তদের মধ্যে কোতোয়ালি, গড়বেতা, কেশপুর, আনন্দপুর,দাঁতন, মোহনপুর প্রভৃতি এলাকায় আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে এঁদের বড়মা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরেও বুধবার ৫জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। শহিদ মাতঙ্গিনী, ভগবানপুর ১ ও ২ ব্লকে মোট ৫জন পরিযায়ী শ্রমিকের নমুনায় করোনা ভাইরাসের অস্থিত্ব মিলেছে। এঁদেরকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে বড়মা হাসপাতালে। সব মিলিয়ে দুই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০তে। তবে আশ্বস্ত হওয়ার মত খবরও এই যে বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে যে ২০৮ জনের পরীক্ষার ফল এসে পৌঁছেছে তার প্রতিটি ফলই নেগেটিভ এসেছে।

জেলার মতই করোনা সংক্রমণ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী রাজ্যে। ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৩৬৮ জন আক্রান্ত, ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬,৮৭৬ জন। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন থেকে এই তথ্য জানা যায়। জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা থাবায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। ফলে আজ পর্যন্ত রাজ্যে করোনা থাবায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮৩ জনের। পূর্ব এমন ৭২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছিল যাদের শরীরে করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি অন্য রোগের উপসর্গ ছিল। ফলে আজ পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৩৫৫ জনের মৃত্যু হল যাদের শরীরে করোনা সংক্রমিত ছিল।

বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮৮ জন। ফলে রাজ্যে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ২,৭৬৮ জন। আজ পর্যন্ত রাজ্যে সক্রিয় চিকিৎসাধীন আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৭৫৩ জন।
রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে আগের তুলনায় পরীক্ষার সংখ্যা বহুগুন বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে আক্রান্তদের চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি দেখলেও দ্রুত তাঁদের চিকিৎসা শুরু করায় সুস্থতার সংখ্যাও বাড়ছে ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় আতংকের কোনও কারন নেই।

RELATED ARTICLES

Most Popular