নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গ্রামীন অংশেও অব্যাহত করোনার প্রকোপ। খড়গপুর ও মেদিনীপুরের রিপোর্ট আমরা আগেই প্রকাশ করেছিলাম। এবার করোনার গ্রামীন চলচিত্রে নজর রাখা যাক। ১৯ শে সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট মোতাবেক জেলার জন্য চিন্তার প্রধান কারন হল করোনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সামনের সারিতে লড়াই করা দুই করোনা যোদ্ধা ডাক্তার উৎপল রায় ও ডাক্তার মনজিৎ বিশ্বাস আক্রান্ত হয়েছেন।
১৯সেপ্টেম্বর র্যাপিড আ্যন্টিজেন পরীক্ষায় এই দুজনের পজিটিভ এসেছে। দুজনেই ওই দিন থেকে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। ডাক্তার রায় পিংলা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও পিংলা হাসপাতালের সর্বেসর্বা ঠিকই তেমনই ডাক্তার বিশ্বাস ঘাটাল ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, ঘাটাল করোনা ওয়ার্ডের পাশাপাশি ঘাটাল মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের মত কাজ করতেন একজন সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের মত দায়িত্ব নিয়ে। স্বাভাবিক ভাবেই দুই গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য পরিষেবা সঙ্কটের মুখে এই দুটি এলাকায়।
এবার আসা যাক জেলার গ্রামীন এলাকার করোনা চাল চিত্রে। প্রথমে বেলদা। এই এলাকার তুতরাঙা এলাকায় এক ৩৩ বছরের মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন। বেলদার সবুজপল্লী এলাকায় ৬৪ বছরের এক বৃদ্ধ ও ৫৮ বছরের এক মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন। দেউলিতে ২৯ বছরের যুবতী, বেলদা ৩৮ বছরের যুবক এবং ছোট মাতকাতপুরে ৫বছরের এক শিশু আক্রান্ত হয়েছে।
দাসপুরের বাঁশখালিতে ৪৪ বছরের এক ব্যক্তি, রাধাকান্তপুর ও পাঁচ বেড়িয়াতে ৪৮ ও ৩৮ বছরের দুই পুরুষ, বাঁকিনাথপুর ও জটাধরপুরে ২৪ ও ৪৮ বছরের দুই ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। দাসপুরে আক্রান্ত হয়েছেন এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীও।
১৯ শে সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট মোতাবেক ডেবরার ডুঁয়া এলাকায় ৬৪ বছরের এক বৃদ্ধা ও ৪৩ বছরের এক পুরুষ ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। হরিহরপুরে একই পরিবারের ৩জন আক্রান্ত হয়েছেন যাঁদের মধ্যে ৫৭ ও ২৬ বছরের দুই মহিলা ও ৩৬ বছরের এক যুবক রয়েছেন।
ঘাটালে প্রতাপপুর ও ভাতোরা গ্রামে ৪২ ও ২৬ বছরের ২ যুবক, ক্ষীরপাই ও গোরবেতায় ৬৪ বছরের এক বৃদ্ধা ও ৩৮ বছরের যুবক আক্রান্ত হয়েছেন। ঘাটাল পৌরসভার গম্ভীরনগরে ৫৮ ও ৫২ বছরের ২জন প্রৌঢ় আক্রান্ত হয়েছেন। কুশপাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ বছরের ব্যক্তি, শ্যামসুন্দরপুর ও বেলেপুকুর ৩৮, ১৭ ও ৪০বছরের দুই যুবক ও এক কিশোর আক্রান্ত হয়েছেন। ঘাটালের বিদ্যাসাগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীন দেওয়ানচক ও সিংহপুরে ৩৩ ও ৪৯ বছরের দুই ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন।