নিজস্ব সংবাদদাতা: বজ্রাঘাতেও বোধহয় চমকে উঠত আসানসোল যা কিনা বৃহস্পতিবার ঘটল। দমবন্ধ করে আসানসোলবাসী শুনলেন আগামী ৩১শে মার্চ অবধি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মা কল্যানেশ্বরীর মন্দির। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত জানিয়েছেন করোনার সতর্কতায় সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জমায়েত, ভিড় এসব এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে আর সেই কথা মাথায় রেখেই এবার আসানসোলের প্রাচীন কল্যাণেশ্বরী মন্দির বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হল।
জনশ্রুতি এই যে পুরুলিয়ার কাশীপুর রাজবংশের হাতে শত শত বছর আগে পত্তন হয়েছিল এই মন্দির। কারও কারও মতে পঞ্চকোটের রাজারা ৫০০ বছর আগে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে অবস্থিত কল্যাণেশ্বরী মন্দির পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ । অনেকে মাইথন বেড়াতে এলে ঘুরে যান কল্যাণেশ্বরী মন্দির। প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষের জমায়েত হয় এই মন্দিরে।
রাজ্য সরকারের নির্দেশে ইতিমধ্যেই বন্ধ করা হয়েছে পার্ক, চিড়িয়াখানা, সিনেমা হল। এবার কল্যাণেশ্বরী মন্দির কমিটির পক্ষ থেকেও মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল । সুরক্ষা ও সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে মন্দির কমিটি। প্রধান সেবাইত দিলীপ দেওঘরিয়া জানান, ” শুধুই আমার নয়, আমার আগে এবং তারও আগে যাঁরা সেবাইত ছিলেন কেউই কখনও শোনেননি যে এই মন্দির বন্ধ হয়েছে।”
কথিত আছে এক সময় মা কল্যানেশ্বরী মন্দিরে নরবলি প্রথা প্রচলিত ছিল। জাগ্রত দেবী ভক্তের যে কোনও মনস্কামনা পূরন করেন তবে বিশেষ করে সন্তানহীনা মায়েরা সন্তানলাভের জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা করেন। সন্তান লাভের জন্য আশে পাশের জেলাই শুধু নয় মায়ের কাছে ছুটে আসেন ভিন রাজ্যের মায়েরাও। সেই মায়ের মন্দির বন্ধ হওয়ায় তাই হতবাক আসানসোল।