Homeএখন খবরইচ্ছে মত অনলাইন ক্লাশ নেওয়া যাবেনা, সময়সীমা বাঁধল কেন্দ্র

ইচ্ছে মত অনলাইন ক্লাশ নেওয়া যাবেনা, সময়সীমা বাঁধল কেন্দ্র

ওয়েব ডেস্ক : করোনা আবহে দীর্ঘ কয়েক মাস যাবত বন্ধ স্কুল-কলেজ ৷ এই পরিস্থিতিতে সিলেবাস করতে মরিয়া স্কুলগুলি। ফলে সিলেবাস শেষ করতে একমাত্রই পথ অনলাইন ক্লাস। গত কয়েকমাসে সেভাবেই চলছে পড়াশুনা।

কিন্তু এই অনলাইন ক্লাস নিয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠলো ৷ অবিভাবকদের অভিযোগ, বেশ কয়েকটি স্কুল নির্দিষ্ট সময়সীমা না মেনে নিজের ইচ্ছে মতো বহুক্ষণ ধরে অনলাইন ক্লাস নিচ্ছে। কখনো ১ ঘন্টা কখনো আবার ক্লাসের সমসীমা দাঁড়াচ্ছে দেড় ঘন্টা। এর জেরে বিশেষত প্রাক প্রাথমিক শিশুরা রতে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ এমন অভিযোগ পেতেই সক্রিয় কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ মন্ত্রক ৷ দীর্ঘ সময় অনলাইনে কাটালে শিশুরা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই ‘প্রাজ্ঞতা’ নামক গাইডলাইন প্রকাশ করে অনলাইন ক্লাসের সময়সীমা বেঁধে দিল এইচআরডি মন্ত্রক ৷

এইচআরডি মন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রি প্রাইমারিতে কোনওভাবেই দিনে ৩০ মিনিটের বেশি ক্লাস করানো যাবে না ৷ এবিষয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত দু’টি সেশনে ক্লাস করানো যাবে। তবে প্রত্যেক সেশনেই ক্লাসের সময়সীমা কোনোভাবেই ৪৫ মিনিটের বেশি রাখা যাবে না। একই সাথে যেহেতু নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসের পরিমাণ বেশি সেক্ষেত্রে এই ক্লাসগুলিতে সর্বোচ্চ চারটি সেশনে ক্লাস করানো যাবে ৷ তবে এক্ষেত্রেও প্রত্যেক ক্লাসের সর্বোচ্চ সময়সীম ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হতে পারে ৷

এবিষয়ে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল বলেন, “করোনার মোকাবিলায় স্কুলগুলিকে অনলাইন ক্লাসে পড়ানোর ক্ষেত্রে শিক্ষাদান ও শিক্ষাগ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে একটু ভাবতে হবে এবং অবশ্যই সময়সীমা কমাতে হবে। পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য নতুন ভাবে ভাবতে হবে এবং নতুন কোনও পদ্ধতিতে সেগুলো প্রয়োগ করতে হবে। বাড়ি ও স্কুলকে মিলিয়ে সঠিক ও স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে পড়াতে হবে পড়ুয়াদের।”

করোনা আবহে একেই ঘরের বাইরে বেরোতে পারছেন না পড়ুয়ারা। তারওপর স্কুলগুলি জলদি সিলেবাস শেষ করতে বাড়াচ্ছে ক্লাসের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘক্ষণ অনলাইন ক্লাসের জেরে বিশেষভাবে প্রাক প্রাথমিক পড়ুয়াদের মধ্যে চাপের সৃষ্টি হচ্ছে৷ এমনকি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন তারা৷ ফলে আশঙ্কিত হয়ে পড়ছিলেন অবিভাবকেরা ৷ এরপরই পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নয়া গাইডলাইন জারি করেছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ৷

RELATED ARTICLES

Most Popular