নিজস্ব সংবাদদাতা: মাত্র ২০০০ টাকার জন্য মালিকের শিশুপুত্রকে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। হতবাক করা ঘটনায় চমকে উঠেছে হাওড়ার ডোমজুড়ের বাঁকড়া এলাকা। যদিও ঘটনার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে বর্ধমান স্টেশন থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে হাওড়া পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বাঁকড়ার একটি বহুতল আবাসনে চুরি তৈরির কারখানা ছিল মহম্মদ ইফতিকার নামে এক ব্যবসায়ীর। তাঁর কারখানায় মাসিক ছয় হাজার টাকা বেতনে কাজ করত মহম্মদ সেলিম। সূত্রের খবর, গত মাসে সমস্যা থাকায় সেলিমকে ৪০০০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন ইফতিকার। কিছুদিনের মধ্যেই বাকি টাকা দিয়ে দেবেনও বলেছিলেন তিনি। বেশ কয়েকদিন পরও টাকা না মেলায় একাধিকবার মালিকের কাছে বকেয়ার দাবি করে মহম্মদ সেলিম। কয়েকদিন আগে এই ইফতিকারের সঙ্গে তার অশান্তিও হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সোমবার বিকেলেও এই নিয়ে অশান্তি হয় দু’জনের মধ্যে। এর কিছুক্ষণ পর বহুতল থেকে উদ্ধার হয় ইফতি কারের ছেলের রক্তাক্ত দেহ। শিশুটির দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মেলে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই ইফতিকারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে হাওড়া সিটি পুলিশ। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে মঙ্গলবার ভোর রাতে বর্ধমান স্টেশন থেকে মহম্মদ সেলিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জানা গিয়েছে, খুনের পর গা ঢাকা দিতেই হাওড়া ছেড়ে সমস্তিপুরের বাড়িতে যাচ্ছিল অভিযুক্ত। তবে শুধুই কি ২০০০ টাকার জন্য এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড? ঘটনার পেছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রয়োজনে ধৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ধৃত মহম্মদ সেলিমের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। ঘটনা জানার পর শোকস্তব্ধ প্রতিবেশীরা।