Homeএখন খবরছত্রধরকে নিয়ে ঢাক ঢাক গুড় গুড় বিজেপির, তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি ছত্রধরের

ছত্রধরকে নিয়ে ঢাক ঢাক গুড় গুড় বিজেপির, তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি ছত্রধরের

তৃণমূলের ছত্রধর বরন, লালগড়ে 

নিজস্ব সংবাদদাতা: ছত্রধর মাহাতোর মুক্তি নিয়ে ঝেড়ে কাশতে রাজি নয় বিজেপি। ছত্রধরের মজেল থেকে মুক্তি ও তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য সরাসরি না করে তাঁকে কেন এতদিন জেলে থাকতে হল তাই নিয়ে পাল্টা মমতাকেই বিঁধলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। রবিবার মেদিনীপুর শহরে বলেন-ছত্রধর মাহাতো কে গ্রেপ্তার করা জেলবন্দি রাখা এবং মুক্তি দেওয়া সবেতেই রয়েছে রাজনীতি।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শনিবার শেষ মামলায় জামিন পাওয়ার পর ছত্রধর রবিবার তৃণমূলের বিশেষ আতিথেয়তায় বাড়ি ফিরেছেন।  তৃণমূলের পক্ষ থেকে লালগড় এলাকায় সকাল থেকেই রীতিমতো ভুরিভোজন এর আয়োজন করেছিল স্থানীয় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। লালগড়ের এস আই চকে খিচুড়ি রান্নার আয়োজন করা হয়। মোটরবাইক মিছিল করে অভিনন্দন জানিয়ে ছত্রধর মাহাতোকে বাড়িতে পৌঁছানোর কর্মসূচি নেয়া হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। যা দেখে স্থানীয় অনেক মানু্ষেরই  বক্তব্য ঝাঁকের কই ঝাঁকে ফিরেছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রবিবার মুকুল রায় বলেন-ছত্রধর মাহাতো কে ব্যবহার করে তৃণমূল কংগ্রেস জায়গা দখল করেছিল।ছত্রধর মাহাতো এতদিন ধরে জেলে কেন ছিল সেটাই বরং প্রশ্ন হওয়া উচিত ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। রাজনৈতিক স্বার্থে ছত্রধর মাহাতোকে ব্যবহার করা হয়েছে, জেলে পাঠানো হয়েছিল, আবার মুক্তিও দেওয়া হল রাজনৈতিক কারণে। আমরা ছত্রধর মাহাতোর দাদা শশধর মাহাতোর মৃত্যুটাও জানি। সুচিত্রা মাহাতোর ঘটনাও জানি।ছত্রধর মাহাতো এতদিন জেলে কেন রইল সেই প্রশ্নটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসাধারণের কাছে দেওয়া উচিত। কারণ ছত্রধরের কাঁধে পা রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলে প্রবেশ করেছিল। সরকার এখন ছত্রধর কে মুক্তি দিয়েছে, সরকারের আতিথেয়তা পেয়ে ছত্রধর কি মূল্য দেয় সেটাই দেখতে হবে।

রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কর্মসূচিতে মুকুল রায় 

আসলে অনেকের ধারনা বিজেপির সঙ্গে ছত্রধরের গোপন বোঝাপড়া থাকতে পারে। মুকুল রায় নিজে মাঝখানে উদ্যোগ নিয়েছিলেন ছত্রধরকে বিজেপিতে ভেড়াতে। কিন্তু রাজ্য সরকার না চাইলে ছত্রধরের জামিন সম্ভব নয় একথা ভেবেই পিছিয়ে যান মুকুল। মাওবাদী আমলে মমতার চাইতেও ছত্রধরের ঘনিষ্টতা ছিল মুকুলের সাথে। মুকুলের নেতৃত্বেই কলকাতায় এবং কলকাতার বাইরে মাওবাদী নেতাদের সঙ্গে তৃনমূল নেতাদের বৈঠক ও বোঝাপড়া চলত। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মুকুল রায় ছত্রধর মাহাতের বাড়ি যান। ফলে ছত্রধরকে নিয়ে একটি আলাদা ভাবনা বিজেপির আছে বলেই তাঁর সম্পর্কে কোনও বিরূপ মন্তব্যে নারাজ বিজেপি।
ঝাড়গ্রামের বিজেপি সভাপতি সুখময় সৎপতিও কৌশলী মন্তব্য করে বলেছেন, ” ছত্রধর মাহাত জঙ্গলের মানু্ষের উন্নয়নের দাবিতে জেলে গেছিলেন। জেল থেকে বাড়ি গিয়ে গ্রামে থাকুন, দেখুন সেই উন্নয়ন হয়েছে কিনা?”

RELATED ARTICLES

Most Popular