ওয়েব ডেস্ক : রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নিয়ে প্রতিবছরই পুজোর আগে সংঘাত চরমে ওঠে। সরবরে যাতে ছটপুজো করা যায়, সেকারণে রাজ্য সরকারের তরফে দিনকয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল কলকাতার মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। রবীন্দ্র সরোবারে কোনোভাবেই যাতে ছটপুজো না পালন করা হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তার উপর স্থগিতাদেশ জারি করতেই আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের তরফে এইধরনের কোনো পদক্ষেপ তো নেওয়া হয়নি, বরং ট্রাইবুনালের নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের তরফে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
প্রতিবছর ছটপুজোর দিনে রবীন্দ্র সরোবরে ভিড় জমান কলকাতায় বসবাসকারী বহু অবাঙালি হিন্দিভাষী মানুষজন। রীতি অনুযায়ী, সরোবরের জলে নেমে পুজো করার পাশাপাশি ভোরবেলা বাজি–পটকা ফাটানো হয়। এর জেরে পরিবেশ তো দূষণ হয়ই, পাশাপাশি সরোবর জুড়ে এত ময়লা ফেলা, নোংরা করা হয় যে এর জেরে অন্তত কয়েকদিন সরোবর সহ গোটা এলাকায় চরম আবর্জনা হয়। এর জেরে ইতিমধ্যেই রাজ্যের পরিবেশবিদদের তরফে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর কোনও অনুষ্ঠান যাতে না করা হয় সেই নির্দেশ দেয় ট্রাইবুনাল। কিন্তু ট্রাইবুনালের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে কেএমডিএ।
এবিষয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আরএফ নরিম্যানের বেঞ্চ এর তরফে নোটিশ জারি করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, ট্রাইবুনালের নির্দেশ আদতে যথাযথভাবে পালন করা হয়েছে কিনা তা রাজ্য সরকারকে পরবর্তী শুনানির দিন জানাতে হবে। প্রসঙ্গত, গত বছরও একই ঘটনা ঘটেছিল। ট্রাইবুনালের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সরকারের তরফে ছটপুজোর দিন রবীন্দ্র সরোবর এলাকার সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি গোটা সরোবর জুড়ে পুলিশি নিরাপত্তা রাখা হয়েছিল। কিন্তু আদতে কোনো লাভ হয়নি। পুজোর দিন ভোরে হাজার হাজার মানুষ জোর করে গেট ভেঙে সরোবরে ঢুকে পুজো করেছিল। এর জেরে চরম দূষণের মুখে পড়েছিল রবীন্দ্র সরোবর। ফলে এবার রাজ্য সরকারের তরফে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে।