নিজস্ব সংবাদদাতা: বিরোধীদের নবান্ন কিংবা লালবাজার অভিযান আটকানোর জন্য যে পুলিশকে তেড়েফুড়ে উঠতে দেখা যায়, রাজনৈতিক কর্মীদের মেরে মাথা ফাটিয়ে, হাত-পা ভেঙে দিতে যে পুলিশ অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা যায়, দেখা যায় বিরোধি মহিলা আন্দোলনকারী মহিলা কর্মীকে মাটিতে ফেলে পুরুষ পুলিশ লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে সেই পুলিশ যেন বেমালুম উধাও হয়ে গেল কলকাতার রবীন্দ্র সরোবরের পাশ থেকে!
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আদালতের কঠোর নিষেধাজ্ঞা স্বত্তেও মাত্র কয়েকশ মানুষ দুটো দরজার তালা ভেঙে ঢুকে পড়ল রবীন্দ্র সরোবরের। শুধুই তাই নয় প্রাতঃভ্রমণকারীদের জন্য আদর্শ ওই স্থানে শনিবার কুৎসিত গালিগালাজ করে সরোবরের দরজার তালা ভেঙে ঢোকা ওই ছট ভক্তের দল। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রাতঃভ্রমনরত বৃদ্ধ প্রৌঢ় মহিলার দল। আর পুরো এই ঘটনার সময় টিকিও দেখা যায়নি বীরপুংগবের খ্যাতি অর্জন করা কলকাতা পুলিশের। এমনটাই অভিযোগ পরিবেশকর্মীদের।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রতি বছর শীতেই ভিন দেশের বহু পাখি ভিড় জমায় রবীন্দ্র সরোবরে। তাই পরিবেশপ্রেমীদের দাবি নানা পাখির ভিড়ে ঠাসা রবীন্দ্র সরোবরে কোনওভাবেই ছট পুজো করতে দেওয়া চলবে না। কারণ, ছট পুজো করতে দেওয়া মানেই তাতে যেমন দূষিত হবে সরোবরের জল। আবার তেমনই বাজি ফাটানো এবং ডিজে বাজানোর জেরে শব্দদূষণও হবেই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তাতে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যা হবে পাখিদের। গত বছরই এমন ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছিল সরোবরকে। তার ফলে সময়ের বহু আগেই পরিযায়ী পাখিরা সরোবর ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই চলতি বছরও আদালতের দ্বারস্থ হন পরিবেশ কর্মীরা। তাঁদের দাবি, কোনওভাবেই ছট পুজো রবীন্দ্র সরোবরে করতে দেওয়া যাবে না। পরিবেশ কর্মীদের দাবি মেনে দক্ষিণ কলকাতার এই বিখ্যাত সরোবরে ছট পুজো করা যাবে না বলেই নির্দেশ দেওয়া হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সেই অনুযায়ী রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো হবে না জানিয়ে নোটিসও দেয় কলকাতা পুরসভা। অন্যান্য কোন ঘাটে ছট পুজো করা যেতে পারে তাও উল্লেখ করে দেওয়া হয় ওই নোটিসে। এমনকী শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পার্কে প্রবেশের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে এই নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করেই তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। অভিযোগ, জোর করে একদল যুবক রবীন্দ্র সরোবরের তিন নম্বর এবং মাদার ডেয়ারি গেটের তালা ভেঙে দেয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ছিঁড়ে ফেলা হয় কলকাতা পুরসভার নিষেধাজ্ঞার নোটিসও। প্রাতঃভ্রমণকারীরা বাধা দিতে যায় তাতে। অভিযোগ, তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। পুলিশি নিরাপত্তার অভাবেই এমন কাণ্ড ঘটেছে বলেই অভিযোগ পরিবেশপ্রেমীদের। এই ঘটনায় পুলিশি উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। বিকালের দিকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা করছেন পরিবেশপ্রেমীরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ কি করছিল ? শনিবার রবীন্দ্র সরোবরের এই বেআইনি কার্যকলাপ যে ঘটতে চলেছে এ ব্যাপারে কোনও খবরই ছিলনা গোয়েন্দাদের কাছে ? যদি না থেকে থাকে তবে সেটাতো মারাত্মক ব্যর্থতা পুলিশের এবং নিরাপত্তাহীনতার আশংকা সাধারন মানু্ষের জন্য । এটা তো এক ধরনের সংগঠিত হিংসা!
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও ঘটনার পর সক্রিয় হয়েছে পুলিশ । ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কলকাতা পুলিশ। আবারও তিন নম্বর গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। রবীন্দ্র সরোবরের প্রতিটি গেটেই মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। অবশ্য এদিনের বিষয় নিয়ে ফের আদালতে যেতে পারে পরিবেশ প্রেমীরা । উঠতে পারে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন।