নিজস্ব সংবাদদাতা: রাইটার্স বিল্ডিংয়ে কর্মরত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের এক ৩৪ বছরের যুবকের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য ঘনীভূত হয়েছে দুর্ঘনা নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ যদিও প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার তত্ত্বই জোরালো হচ্ছে। যদি এই ঘটনা আত্মহত্যাই হয় তবে প্রশ্ন উঠেছে দেড় বছরের শিশুপুত্র, স্ত্রী, মা বাবা কে ফেলে রেখে নিজের সার্ভিস রাইফেল দিয়ে কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন! এই আত্মহত্যার পেছনে দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতিই কারন হতে পারে এমনটাই মনে করছে বিশ্বজিতের পরিবার।
জানা গেছে শুক্রবার দুপুর ৩.৩৫ মিনিট নাগাদ হঠাতই মহাকরণের ৬ নম্বর গেটে গুলির শব্দ পাওয়া যায়। মুহূর্তেই দেখা যায়, সার্ভিস রাইফেল থেকে নিজের দেহে গুলি চালিয়েছেন ৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কর্মী বিশ্বজিৎ বাবু। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর কন্ঠ ভেদ করে গুলি বেরিয়ে গেছে চোখের ভেতর দিয়ে। যা থেকে মনে করা হচ্ছে গলায় রাইফেলের নল ঠেকিয়ে নিজের আঙুল দিয়ে ট্রিগার টিপে দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ।
ঘটনার আকস্মিকতায় ছুটে আসেন সকলে। খবর যায় লালবাজারে। সেখান থেকে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল আসেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই পুলিশ কর্মীর দেহ। ঘটনার পরপরই সিল করে দেওয়া হয় ৬ নম্বর গেট। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশের তরফে ওই ঘটনা আত্মহত্যা নাকি অসাবধানতাবশত ঘটেছে, তা খতিয়ে নিশ্চিত করে বলা হয়নি। পুলিশের বক্তব্য, এখনও ওই পুলিশকর্মীর কাছ থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তবে, তিনি নিয়মিত ওষুধ খেতেন বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে হঠাত করেই গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে রাইটার্স বিল্ডিং। আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায় সাধারণ মানুষের মধ্যে। এর মধ্যেই দেখা যায়, ৬ নম্বর গেটের সামনে পড়ে রয়েছে বিশ্বজিৎ কারকের দেহ।
সরকারি ভাবে যদিও এখনও মৃত্যুর কারন বলা হয়নি। কারও কারও দাবি, নিজের মাথায় রিভলবার রেখেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই পুলিশকর্মী। তদন্ত শুরু হয়েছে। কথা বলা হয়েছে পরিবারের সঙ্গে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই পুলিশকর্মী কোনও অবসাদে ভুগছিলেন কিনা। ডিসি সেন্ট্রাল জানিয়েছেন, বিশ্বজিতের আসলে বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে। কলকাতায় থাকেন লেকটাউনে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে বিশ্বজিতের স্ত্রী মামনি কারক দাস আর.জি.কর হাসপাতালের নার্স। সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিলনা এমনই জানিয়েছেন বিশ্বজিতের বাবা। নাতির দেখভাল করার জন্য লেকটাউনের আবাসনে গিয়ে ছেলে বৌমার কাছে থাকতে শুরু করেছিলেন বিশ্বজিতের মা। শুক্রবার ঘটনার জ
খবর পেয়েই কলকাতায় পৌঁছেছেন বিশ্বজিতের ভাই সঞ্জিত ও দিদি ছায়া। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।