বিকালে কৃষ্ণপুর স্টেশনে জ্বলছে একের পর এক ট্রেন |
নিজস্ব সংবাদদাতা: শনিবার সকালের কোনা এক্সপ্রেসে যেমন একের পর এক বাস জ্বলতে দেখা গিয়েছিল ঠিক তেমনটাই দেখা গেল বিকালের মুর্শিদাবাদে। মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণপুর স্টেশনে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা পর পর পাঁচটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দিল বিক্ষোভকারীরা। এই পাঁচটি ট্রেনের মধ্যে তিনটি লোকাল ট্রেন, অন্য দুটি হল লালগোলা প্যাসেঞ্জার ও হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস। পাশাপাশি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে ডাউন মালদহ কাটিহার লোকাল ট্রেনেও একদল বিক্ষোভকারী এদিন বিকেলে হামলা চালায়। রেলের তরফে জানানো হয়েছে গত দুদিনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কোটির অঙ্ক ছুঁয়ে যেতে পারে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শুক্রবার শুধুই বেলডাঙা আর উলুবেড়িয়া স্টেশনে তাণ্ডব চলেছিল কিন্তু শনিবার হাওড়ার সাঁতরাগাছি, উত্তর চব্বিশ পরগণার আমডাঙা, দক্ষিণ ২৪ পরগণার একাধিক রেল চত্বরে বিক্ষোভ ও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। তবে সব কিছুকেই ছাড়িয়ে গেছে মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণপুর স্টেশন। দাঁড়িয়ে থাকা ৫টি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে তথাকথিত প্রতিবাদীরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুর্ব রেল সূত্রে জানা গেছে, বিক্ষোভ-অবরোধের কারণে কৃষ্ণপুর স্টেশনে ওই পাঁচটি ট্রেন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল। অবরোধ দীর্ঘায়িত হওয়ায় ভিতরে কোনও যাত্রী ছিলেন না। সারাদিনে ট্রেনগুলির উপর কোনও হামলার ঘটনাও ঘটেনি। কিন্তু বিকেল গড়াতেই কয়েক’শ বিক্ষোভকারীরা কৃষ্ণপুর স্টেশনে তাণ্ডব শুরু করে। রেল পুলিশের যে নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন তাঁদের সংখ্যায় তুলনায় এতই কম যে ভয়ে তাঁরাই স্টেশন ছেড়ে পালান বলে অভিযোগ। ফলে বিকেল পাঁচটা নাগাদ একেবারেই মুক্তাঞ্চল হয়ে যায় কৃষ্ণপুর স্টেশন। তার পর একের পর এক ট্রেনের কামরায় আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
সকালে কোনায় জ্বলেছে একের পর এক বাস |
রেল স্টেশনে তাণ্ডব এদিন কেবল মুর্শিদাবাদেই সীমিত ছিল না। শনিবার সকালে হাওড়ার সাঁকরাইল স্টেশনের বুকিং কাউন্টারে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। তাতে রেলের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর। এমনকি রেল পুলিশের এও অভিযোগ টিকিট কাউন্টার থেকে টাকা লুঠ করার চেষ্টাও হয়েছে।সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যে ক্রমশই বিপজ্জনক চেহারা নিতে চলেছে এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বারবার রাজ্যে শান্তি বজায় রেখে অন্দোলন করার আহ্বান জানালেও তাতে যে আন্দোলনকারীরা কর্ণপাত করছেনা এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিজেপির তরফে অবশ্য অভিযোগ করা হয়েছে সরকার এবং তৃনমূল দলের প্রশ্রয় রয়েছে এই ধ্বংসাত্মক আন্দোলনে আর তাতেই লাগাম ছাড়া হয়েই চলেছে আন্দোলনকারীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “শুধু রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে বাংলার মানুষের জীবন বিপদের দিকে ঠেলে দিলে তার ফল ভাল হবে না। মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অন্যদিকে রাজনীতিবিদদের একটা অংশ বলছেন, আন্দোলনকে সামনে রাখে আড়ালে এর নিয়ন্ত্রন করছে সমাজবিরোধীরাই। তারাই লুটপাট, অগ্নি সংযোগের মত ঘটনাগুলি ঘটাচ্ছে। আর সংখ্যালঘু এলাকায় এই আন্দোলনকে কড়া হাতে দমন করতে ভয় পাচ্ছে রাজ্য।