নিজস্ব সংবাদদাতা: বিকাল ৫টায় শুরু লক ডাউন। ৫টার মধ্যেই ফিরতে হবে বাড়ি। কেউ গেছিলেন আত্মীয় বাড়ি, কেউ আবার ডাক্তার দেখাতে। ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে আগামী ৩১শে মার্চ অবধি আর বিকাল ৫টার বন্ধ হয়ে যাবে বাস , অটো , ট্রেকার। ফেরার উপায় নেই। তাই সবাই মিলে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন বাস ধরতে। একটা বাস তো তিনশ জন যাত্রী। আর তার সুযোগ নিয়ে মগের মুলুক শুরু হয়ে গেছে বাসের কন্ডাক্টরদের। ১০ কিলোমিটারের ভাড়া ১০০টাকা , ১৫কিলোমিটারের জন্য ২০০টাকা আর ৪০কিলোমিটার হলেই ৪০০টাকা ।
সোমবার দুপুর গড়ানোর সংগে সংগে এমনই দৃশ্য দেখা গেল হাওড়া থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে। সাধারণ মানুষের সড়ক পথের একমাত্র ভরসার সুযোগ নিয়ে বেসরকারি বাসের এমনই কালোবাজারি নজরে পড়ল । যাত্রীদের অভিযোগ যে হাওড়া থেকে কাঁথি পর্যন্ত ভাড়া প্রায় ৪০০টাকা। আবার আলমপুর থেকে মেচেদা পর্যন্ত ভাড়া ২০০ টাকা। বাগনান থেকে একশ ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে মেচেদা অবধি ভাড়া। তাও আবার বেআইনিভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গোটা বাস ও বাসের ছাদ পিঠ যাত্রী বোঝাই করে চলছে গন্তব্যস্থলে । যাত্রীদের অভিযোগ যে কোন যাত্রী যদি কম পয়সা দিতে চায় তাকে মাঝ রাস্তায় নামিয়ে দিচ্ছে কন্ডাক্টর। কিন্তু কোন উপায় নাই। যে কোন প্রকারে আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে বাড়ি পৌঁছতে হবে।
কথা ছিল লকডাউনের মুখে কালোবাজারি রুখতে রাস্তায় নামবে পুলিশ। যদিও এক্ষেত্রে তেমন কিছু নজরে পড়েনি। ফলে প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি। বাসের মাথায় , পিঠে বাদুড় ঝোলা কিংবা বস্তা গাদাগাদি হয়ে জীবন হাতে নিয়ে, গাঁটের থেকে বেশি কড়ি খসিয়ে ফিরতে হয়েছে মানুষকে।