নিজস্ব সংবাদদাতা: আটমাস আগে কেশিয়াড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল দাঁতনের এক যুবক। সোমবার সেই কিশোরী গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল দাঁতনের সোনাকোনিয়ায়। ওই কিশোরীর বাপের বাড়ির অভিযোগ আপাঙ্গ অ্যাসিড ঢেলে পুড়িয়ে খুন করা হয়েছে তাদের মেয়েকে।যদিও ওই কিশোরীর শ্বশুর বাড়ির দাবি , গায়ে কেরসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বউমা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জানা গেছে মৃতার নাম মৌমিতা পাত্র (বিশাল)। বয়স মাত্র ১৬ বছর। জানাগিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর গত ফাল্গুন মাসে নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছিল দাঁতনের সোনাকোনিয়া মির্জাপুরের বাসিন্দা সুশান্ত বিশালের ছেলে মন্টু বিশাল। তারপর পর বৌমাকে মেনে নিতে চায়নি মন্টুর বাবা-মা। না মেনে নেওয়ার পেছনে ছিল পন নেওয়ার আছিলা। মেয়ে সুখে থাকবে এই আশায় পাত্র পক্ষের কিছু আবদার মেটায় কিশোরীর বাবা। কিন্ত ইদানিং আবার ছেলের জন্য একটি মোটর বাইক দাবী করে ছেলের বাবা মা । সেই দাবি মেটানোর ক্ষমতা ছিলনা কিশোরীর বাবার ।
এরই মধ্যে সোমবার বিকেলে নিজেই গায়ে আগুন দিয়েছে বলে মৌমিতার শ্বশুর বাড়ির দাবী। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রথমে তাঁকে মেদিনীপুর পরে ওড়িশার কটকে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মৌমিতার বাপের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি থানার খাজরা গ্রামে। মৌমিতার বাবা কালীপদ পাত্র কলকাতায় গার্ডের কাজ করেন। তাই খবর পেয়ে মেদিনীপুর ও কটকে যায় মৌমিতার মা অপর্ণা ও আরও কয়েকজন আত্মীয়। মৌমিতার মা অপর্ণা বলেন, গত ফাল্গুন মাসে আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে। পরে নানা কিছু দাবী করে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আমরা হাতে, কানে ও গলার জন্য সোনার গহনা করে দিয়। পরে একটি মোটর বাইক বাদি করে। সেটি এখনো দিতে পারিনি। বাড়িতে প্রায় অশান্তি লেগেই থাকত। মোমিতার মা অপর্ণা বলেন, জামাই ডাম্পার গাড়ির ড্রাইভার। সোমবার বিকেল চারটার দিকে মেয়ে আমাকে ফোন করে ছিল। তারপর এই ঘটনা। সন্ধ্যে ৬ টার দিকে খবর দেয় মেয়ে গায়ে আগুন লাগিয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আগুন লাগালে মেয়ের মুখ পুড়ে গেল, অথচ মাথার চুল পুড়লনা কেন? আমাদের ধারনা শরীরে অ্যাসিড ঢেলে পুড়িয়েছে। কটকে মেয়েকে ভর্তি করেই জামাই এবং মেয়ের শ্বশুর কোথায় পালিয়ে গেছে। কটকে ময়না তদন্তের পর মেয়ের শাশুড়ি ও আমি দেহ নিয়ে আসি দাঁতনে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে যায় মৌমিতার বাবা সহ দু-একজন। পুলিশ অভিযোগ নেয়নি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মৃতদেহ নিয়ে আসার গাড়ির ভাড়া নিয়ে সমস্যা হয়। আমাকে আমার বাড়িতে দেহ নিয়ে যেতে বলে। আমি রাজি হয়নি। মৌমিতার মা অপর্না বলেন, আমার মেয়ে যখন মারা গেছে, আমি নিয়ে যাবো কেন? মঙ্গলবার রাতে দাঁতন থানায় গাড়ি সহ দেহ রাখা হয়। বুধবার ওর শাশুড়ি গ্রামের লোকজন দিয়ে দেহ সৎকার করে’।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মৌমিতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, মেয়েকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। তারপরেও পুলিশকে অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগ নেয়নি। দাঁতন থানা পুলিশ সূত্রে খবর, ‘দেহ কোথায় সৎকার হবে সেই সমস্যা নিয়ে এসেছিল কয়েকজন। সৎকারের সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। পুড়িয়ে মারার কোন অভিযোগ এখনো হয়নি। অভিযোগ হলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে’।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিকে জানাগিয়েছে বৃহস্পতিবারও অভিযোগ জানানোর জন্য বিকেল থেকে গিয়ে দাঁতন থানায় বসে রয়েছেন মৃত মৌমিতার বাপের বাড়ির লোকজন। রাত ৮টা পর্যন্ত তাঁদের অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলে জানাগেছে। কিশোরীর পরিবার জানিয়েছে থানা অভিযোগ না নিলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।