নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে করোনা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হতে শুরু করেছে। টানা তৃতীয় দিনে দৈনিক ১ লক্ষেরও কম নতুন রোগীর খবর পাওয়া গেলেও মৃত্যুর অঙ্ক ভয় ধরাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় ৯৪,০৫২ টি নতুন করোনার কেস সামনে আসে এবং ৬,১৪৮ আক্রান্ত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। একই সঙ্গে ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৬৭ জন মানুষ করোনামুক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ, গত দিনে আকটিভ কেসগুলি ৬৩,৪৬৩ কমেছে। এর আগে মঙ্গলবার, ৯২,৫৯৬ টি করোনার কেস সামনে এসেছিল।
বৃহস্পতিবার, টানা ২৮ তম দিনে দেশে করোনার ভাইরাসের নতুন কেসের চেয়ে সুস্থ হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি। ৯ ই জুন অবধি সারাদেশে ২৪ কোটি ২৭ লক্ষ ২৬ হাজার করোনার ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। শেষ দিনে ৩৩ লক্ষ ৭৯ হাজার টিকা দেওয়া হয়েছিল। একই সময়ে এ পর্যন্ত ৩৭ কোটি ২১ লক্ষ করোনার পরীক্ষা করা হয়েছে। গত দিনে প্রায় ২০ লক্ষ করোনার স্যাম্পেল পরীক্ষা করা হয়েছে, যার পজিটিভিটি রেট ৪ শতাংশের বেশি।
আজ দেশের করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি-
মোট করোনার কেস – ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৮৩ হাজার ১২১।
মোট টেস্ট – ২ কোটি ৭৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪৯৩।
মোট আকটিভ কেস – ১১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯৫২ ম
মোট মৃত্যু- ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৭৬ জন।
এদিকে বিহারের করোনায় মৃত্যু হওয়া লোকের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে, বুধবার স্বাস্থ্য বিভাগ বিহারের করোনার মহামারী থেকে মৃতের সংখ্যা নিয়ে একটি বিশাল সংশোধন করেছে। যার পরে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯,৪২৯। মঙ্গলবার এই সংখ্যাটি ছিল ৫,৪৫৮। স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বুধবার ৫,৪৫৮ সংখ্যাটি ৩,৯৫১ জনের অন্যান্য মৃত্যুর সংখ্যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এর পরে মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯,৪২৯। তবে কখন এই মৃত্যু হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে নিম্নমুখী করোনার গ্রাফ। রাজ্যে ক্রমশ কমছে করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের বুধবারের বুলেটিন অনুয়ায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৮৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের। একদিনে করোনামুক্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৫১২ জন।এরপর একদিনে সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৭. ৮৩ শতাংশ।
রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৫ হাজার ২২৩। মোট অ্যাক্টিভ কেস ১৪ হাজার ৭০২। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৪৬। মোট মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ৫৫৫। একদিনে উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯৬ এবং মৃত্যু ২০ জন। অন্যদিকে কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪৭ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।