নিউজ ডেস্ক: করোনা কালের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সবে শুরু হয়েছিল সুন্দরবনের পর্যটন কিন্তু তারই মধ্যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরতে হল একটি পর্যটন দলকে। নৌকায় করে নদী বক্ষে ভ্রমন করতে করতে জঙ্গল দেখার আনন্দ নিমেষে বদলে গেল আতঙ্কে। নৌকা ডুবে জলে পড়ে উদ্ধার হওয়ার পরও ভয়ঙ্কর আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন এক পর্যটক। স্রোতের টানে তলিয়ে যাওয়া এক মহিলা পর্যটকের খোঁজ মেলেনি ৮ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও। তাঁরও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীন বলেই মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় যাত্রীসুরক্ষা প্রশ্নের মুখে সুন্দরবনের পর্যটন।
রবিবার, শীতের ছুটি কাটাতে গিয়ে এমনই মর্মান্তিক ও ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হল সুন্দরবনের হেড়োভাঙা নদীর ঝড়খালি জেটির কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় মাঝিরা সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কাজে হাত লাগালেও এড়ানো যায়নি দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি নৌকায় ২১ জন পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণের উদ্দেশে ঝড়খালি জেটি থেকে রওনা হন। নৌকা কিছুদূর এগোতেই প্রচণ্ড স্রোতে ভারসাম্যহীন হয়ে তা ডুবে যায়। ঘটনা দেখতে পেয়েই পর্যটকদের উদ্ধার করতে সঙ্গে সঙ্গে নদীতে ঝাঁপিয়ে মৎস্যজীবীরা। তৎপরতার সঙ্গে ২০ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও ১মহিলা পর্যটকের খোঁজ মেলেনি এখনো।
এদিকে যে ২০জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে পর সুবোধ জিতানু নামের এক পর্যটক প্রচন্ড আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাসন্তী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ওই পর্যটকের বাড়ি আসানসোলে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে উদ্ধার কার্য চলার সময় নদীতে স্রোত থাকায় খোঁজ মেলেনি এক মহিলা পর্যটকের। অনুমান করা হচ্ছে নদীতে তলিয়ে যাওয়ার পর স্রোতের টানে দূরে কোথাও ভেসে গিয়েছেন তিনি। পুলিশ এবং স্থানীয় মাঝির দল তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন বলেই জানা গিয়েছে। ওই মহিলা পর্যটকের নাম প্রতিমা দলুই বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে। নৌকাতে ২১জন যাত্রীকে তোলার মত পরিকাঠামো ছিল কিনা, অভিজ্ঞ মাঝি সেই নৌকা চালাচ্ছিল কিনা সে সব খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও বনদপ্তর।